শুক্রবারের গোধূলি বেলাটা সত্যিই মোহনীয়। এ বেলায় যৌবনে জোয়ার আসে। রক্তের দাপাদাপি বেড়ে যায়। হাতের কাছে যা সহজলভ্য তাই আকড়ে ধরতে ইচ্ছে করে। বিশেষকরে ক্ষমতার লাভ চাইল্ড ছাত্রলীগারদের জন্যে সময়টা যেন তাদের দীক্ষাগুরু শেখ মুজিবের নৈকট্য লাভের সময়। এ সময় সিলেটের এমসি কলেজে বৈকালিক ভ্রমণে যাওয়া এক দম্পতি নিশ্চয় মুজিব ধ্যাণে ব্যঘাত ঘটিয়েছিলেন। দেশের উচ্চ আদালতেরও সিদ্বান্ত আছে সময়টা জাতির ধ্যাণের সময়, নির্বাক থাকার মোক্ষম উপলক্ষ। এ সময় ক্যাম্পাসে সুখের সন্ধানে যুগল প্রজাপতির ডানা মেলা মানে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবমাননা করা। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ বীরঙ্গনার সেক্রিফাইসের প্রতি ধৃষ্টতা দেখানো। মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক, স্বাধীনতা রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী ছাত্রলীগ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করেছে মাত্র। দম্পতির পুরুষকে পিটিয়ে আহতকরে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আর মহিলাকে সবাই মিলে উপভোগের মাধ্যমের ক্ষতবিক্ষত করেছে। অর্থাৎ যার যা পাওনা তা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে মিটিয়ে দিয়েছে।
স্যালুট মুজিব সেনাদের!
হে স্বাধীনতা প্রেমী স্বদেশি, দেশকে ভালবেসে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে চাইলে আপনার মা, বোন ও কন্যাকে ছাত্রলীগারদের চরণে ভোগ দেয়ার মন মানষিকতা তৈরী করুন। এদের নিয়ে ট্রল করা রাষ্ট্রীয় অপরাধের শামিল। ওরা এমসি কলেজে কোন অপরধা করেনি, বরং অসময়ে সময়ের গান গাইতে আসায় এক দম্পতিকে নিজদের বীর্য্য দিয়ে পরিত্র করেছে মাত্র।