একজন থানার ওসি বছরের পর বছর ধরে ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করে গেছে, দেশের মেইনস্ট্রীম মিডিয়া টু শব্দটি করেনি। বরং প্রদীপ কুমার দাসদের দাস বনে ক্রসফায়ারের বানোয়াট কাহিনী হাইলাইট করে গেছে। দেশের আকিজ বিড়ি মার্কা বুদ্বিজীবিরা এসব হত্যাকান্ডকে থ্রীলার উপন্যাস হিসাবে উপভোগ করে গেছে সরকারের উচ্ছিষ্ট খেয়ে। অনেকে সাফাই গেয়েছে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও কৌশলগত বিজয় হিসাবে। পিলখানা ম্যাসাকারের পর সেনাবাহিনীকে হাত করার কৌশল হিসাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের অংশিদারিত্ব তাদেরকেও দেয়া হয়েছে। তারা বছরের পর ধরে উপভোগ করে যাচ্ছে এ সুবিধা। এসব অন্যায়, অবৈধ, অযৌক্তিক হত্যাকান্ড নিয়ে কোথাও কোন উচ্চবাচ্য হয়নি। সব চলেছে নদীর মত মসৃণ। হঠাৎ একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর নিহত হওয়ায় অনেকে এখন মুখ খুলছে। অবাক হওয়ার ভান করছে ভেতরের কাহিনী শুনে। আবে জমজম কুয়ার পানির মত পবিত্র পুলিশ বাহিনীতে দুই একটা খারাপ পুলিশ থাকায় নাকি গোটা পুলিশ বাহিনীকে খারাপ বলা যাবেনা।
আমি বলি, আরে চুদিরভাই সকল, বাংলাদেশের এমন একটা থানার এমন একটা পুলিশ ভাইকে দেখাও যার সোগায় গন্ধ নাই। পুলিশ নামের এসব শুকরছানার দলের এখন একটাই মিশন, ছলে, বলে, কৌশলে, গায়ের জোরে, জালিয়াতির মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখিয়ে, ব্ল্যাকমেইল করে সম্পদ কামানো। ওরা সংসদ ভবনের আশপাশে শরীর বিক্রেতা পতিতাদেরও ছাড় দেয়না। গোটা শাসন ব্যবস্থার মগজে এখন একটাই গিলু, সময় থাকতে মাল কামাও। এই মাল কামাতে গিয়ে কোন বাধার সন্মুখিন হলে শেষকরে দাও। এটাই করছে দেশের পুলিশ বাহিনী। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, ওলামা লীগ, মহিলা লীগ, আওয়ামী যুব মহিলা লীগ, শেখ মুজিব স্মৃতি পরিষদ, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল স্মৃতিরক্ষা সংগঠন, বঙ্গমাতার পেটিকোট রক্ষা বাহিনী, শেখ মুজিবের তামাক পাইপ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ সহ বাংলাদেশের অলিগলিতে হাইকোর্টের মাজার মার্কা যেসব শেখ মাজার গড়ে উঠছে তাদের উদ্দেশও পুলিশ বাহিনীর মত অভিন্ন। সময় থাকতে দেশকে লুটে নাও। মাদারীপুরের জনৈক ছাত্রলীগের সহসভাপতি যদি ২০০০ কোটি টাকা লুটতে পারে তাহলে সহজেই অনুমান করা যায় উপরের লেভেলে কি পরিমান ডাকাতি হয়েছে।
একজন ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলালেই সব পাপের অবমুক্তি হবে এমনটা ভাবা একজন দলকানা ছাগলের পক্ষেই সম্ভব। আসল আসামী অনেক উপরের আসনে বসে আছে। তিনি বসে আছেন দেশের রানী হয়ে। তিনি সবকিছুর উর্ধ্বে। দেশের ভাল চাইলে ওনাকে টেনে নামান। তারপর প্রদীপদের ধরেন। তা না পারলে আকিজ বিড়ি ধরিয়ে মুজিব কায়দায় পাইপ টানুন। মনে শান্তি পাবেন।