জানুয়ারী ২০, ২০২১। দুপুর ১২টা। ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ মুহূর্ত। ১২টার পর ক্ষমতার চালকে বসবেন নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বর্তমান প্রেসিডেন্টকে যেতেই হবে। তা তিনি যেখানেই যাননা কেন।
আমেরিকানরা তাদের প্রেসিডেন্টকে সাধারণত দুই টার্মে ৮ বছরের জন্যে নির্বাচিত করে থাকে। ১ টার্মে নির্বাচিত হয়ে ২য় টার্মে পরাজিত হওয়া কোন প্রেসিডেন্টের জন্যে সন্মানের নয়। নিকট অতীতে জিমি কার্টার এবং বুশের পিতা বুশ ১ টার্মে নির্বাচিত হয়ে বিদায় নিয়েছিলেন। কার্টারের কারণ ছিল ইরানের রাজধানী তেহরান হতে জিম্মি আমেরিকান ডিপ্লোমেটদের উদ্ধারের ব্যর্থ চেষ্টা। বড় বুশ পরাজিত হয়েছিলেন প্রথম টার্মে নির্বাচিত হয়ে ট্যাক্স বাড়িয়ে ছিলেন বলে। অথচ নির্বাচনের আগে তার সিগনেচার শ্লোগান ছিল 'Read my lips'। অর্থাৎ পড়, আমার ঠোট কি বলছে। ঠোট নাকি বলছে, ট্যাক্স বাড়ানো হবেনা। নির্বাচিত হয়ে ট্যাক্স বাড়াতে দেরী করেননি। তার সমর্থকরা জবাব দিয়েছিল পরের টার্মে নির্বাচনে। ট্রাম্পের পরাজয়ের আমরা সবাই স্বাক্ষী।
কষ্ট পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরাজয়ের কষ্ট। সহজে মেনে নিতে পারছেন না এই অপমান। মেনে নিতে পারছেন না জানুয়ারীর পর মিডিয়া তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবেনা। কষ্ট পাচ্ছেন এই ভেবে, হোয়াইট হাউসের মত জায়গায় বসে মিথ্যা বলতে পারবেন না। হেরে গেছেন তাই স্বীকার করছেন না। ভেতরের খবর হচ্ছে, তার কাছের জন তাকে জানিয়ে দিয়েছে, গেইম ইজ ওভার এন্ড টাইম টু গো। ট্রাম্প এত সহজে হার মানার লোক না। তাই শেষদিন পর্যন্ত দেখার অপেক্ষা করবেন। ইতিমধ্যে ইনার সার্কেলে আলোচনা করছেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করার।আমেরিকার ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। তবে তা করতে ট্রাম্পের লিগ্যাল কোন বাধা নেই। বাধা হতে পারে, নিউ ইয়র্কস্থ সাউদার্ন ডিষ্ট্রিক্ট কোর্ট। তারা হা হয়ে বসে আছে তাকে গেলার জন্যে। ইতিমধ্যে বেশকটা মামলার তদন্ত এগুচ্ছে এবং সামনে আরও ডজন খানেক মামলার প্রস্তূতি চলছে। এসব মামলার একটায় অভিযুক্ত হয়ে শাস্তি পেলে খেলা শেষ।
নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, আমেরিকান নির্বাচনের নতুন অধ্যায় লিখতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড জন ট্রাম্প। এবং তা হবে কলংকিত অধ্যায়।