অথবা পুতিন'স প্যালেইস। এ নামেই পরিচতি পাচ্ছে কৃষ্ণ সাগরের তীরে ক্রাসনাদার ক্রাইয়ে তৈরী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বপ্নপূরী। রুশ ভাষায় বলা হয় Дворец в Геленджике। সম্পূর্ণ ইতালিয়ান আর্কিটেকচারে তৈরী এই প্রাসাদের নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে ১.৩৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। থলের বেড়াল বেরিয়ে পরলে পৃথিবীর দেশে দেশে স্বৈরশাসকরা যা করেন পুতিনও তাই করেছেন। আলেসকসান্দার পানামারেঙ্কো নামের এক বিলিওনিয়র ব্যবসায়ীকে জজ মিয়া হিসাবে সামনে এনেছেন। ২০১১ সাল হতে জনাব পানামারেঙ্কো দাবি করছেন প্রাসাদের মালিক তিনি নিজে। ১৭,৬৯১ স্কয়ার মিটারের এই প্রসাদে কি আছে ছবিই বলে দেবে।
গহীন নির্জনতায় তৈরী এই প্রাসাদের প্রথম সন্ধান দেন পুতিন বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি। তার পাঠানো ড্রোন রেকর্ড করে নির্মাণ কাজ। এবং ভেতরের ছবি বাইরে প্রকাশ করে ইনসাইডারদের কেউ।
বিরোধী নেতা নাভালনি এখন জেলে। বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যার চেষ্টা সফল হয়নি পুতিনের। কোমায় পর্যন্ত চলে গিয়েছিলনে তিনি। জরুরি ভিত্তিতে জার্মানি নেয়া হয় চিকিৎসার জন্যে। বার্লিনে চিকিৎসরা অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে সারিয়ে তুলেন রুশ দেশের এই নেতাকে। দেশে ফিরলে এয়ারপোর্টেই গ্রেফতার হন তিনি।
রোমানভ ডাইনাষ্টির নতুন প্রতিনিধি ভ্লাদিমির পুতিন কত বছর ক্ষমতায় থাকবেন তার ছক তিনি নিজেই এঁকে দিয়েছেন। শাসনতন্ত্র সংশোধন পর্যন্ত করিয়েছেন। হয়ত বৃদ্ধ বয়সে আয়েশি জীবন কাটানোর জন্যেই তৈরী করেছেন Дворец в Геленджике।
ভয় একটাই; রুশ না আবার ১৯১৭ সালের উইন্টারপ্যালেসের মত দখল নেয় পুতিন প্রাসাদ।