কংগ্রেসের উচ্চ পরিষদ সিনেটে পতিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার শুরু হতে সপ্তাহ দুয়েক বাকি। ওখানে তাকে ডিফেন্ড করার জন্যে যে লিগ্যাল টীম তৈরি হয়েছিল সে টীমের সব এটর্নী একযোগে পদত্যাগ করেছে। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্টের আচার আচারণ। লিগ্যাল টীমকে ব্রীফ করতে গিয়ে তিনি আবারও সামনে আনেন গেল নির্বাচনে কথিত ব্যপক কারচুপি। এটর্নীদের বক্তব্য ছিল সিনেট ট্রায়ালে প্রেসিডেন্টকে ডিফেন্ড করায় মূল যুক্তি হবে ক্ষমতা হতে সড়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্টকে পদ হতে অপসারণ করা আনকনস্টিটিউশনাল। কিন্তু ট্রাম্প গো ধরেন ট্রায়ালে মুল তর্ক হতে হবে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে। যেখানে এটর্নীদের আসল কাজ হবে যুক্তি তর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনকে অবৈধ প্রমাণ করা। এখানেই বাধ সাথে তার লিগ্যাল টীম। এটর্নীদের কেউ মানতে রাজী হয়নি গেল নির্বাচনে ব্যাপক কোন কারচুপি হয়েছিল।
নির্বাচনের বিপক্ষে গিয়ে সিনেটে তর্ক করতে গেলে এটর্নীদের ক্যারিয়ারে ব্যপক ধ্বস নামার সম্ভাবনা থাকায় তারা সড়ে পরতে বাধ্য হয়েছে। সিনেট চেম্বারে একজন সন্ত্রাষীর পক্ষে কথা বলার রিস্ক এটর্নীদের ভাল করেই জানা ছিল। তার উপর নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে ট্রাম্পের ভূয়া দাবির সাথে তারা গলা মেলালে কর্পোরেট আমেইরকা মুখ ফিরিয়ে নেবে এসব এটর্নীদের সার্ভিস হতে। স্বাভাবিকভাবে ব্যবসায় জ্বলতে শুরু করবে লালবাতি।
এককালের পরাক্রমশালী প্রেসিডেন্ট এখন বস্তূত গৃহবন্দী। ফ্লোরিডার Mar-A Lago রিসোর্টে বাইরের পৃথিবীর সাথে কোন যোগাযোগ ছাড়াই দিন কাটাচ্ছেন। বহুল ব্যবহৃত টুইটার তাকে আজীবনের জন্যে ব্লক করেছে। ব্লক করেছে ফেইস-বুক। টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়াও তাকে ইগ্নোর করছে। তবে আশার কথা একজন পাঁকা সন্ত্রাষির তকমা গায়ে লাগালেও তার মুরিদানের দল তাকে ছেড়ে যায়নি। ইনক্লুডিং হাউস ও সিনেট সদস্যরা। সংগত কারণেই এ যাত্রায়ও তিনি সিনেট ট্রায়ালে পার পেয়ে যাবেন।