ভ্যাক্সিন ফ্রন্টে কিছু খারাপ খবর বাইরে আসতে শুরু করেছে। এ নিয়ে ব্যাপক হৈ চৈ শুরু না হলেও বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলছে।। প্রথমত, Johnson & Johnson'এর ১ ডোজের ভ্যাক্সিন নেয়ার পর অপ্রত্যাশিত কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও মৃত্যুর কারণে এই ভ্যাক্সিনের অনুমোদন মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) অথোরিটি স্থগিত করেছে। ভ্যাক্সিন নেয়ার পর রক্ত-জমাট ও হার্ট এটাকে বেশ কজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। মৃতদের সবাই ছিল মহিলা এবং বয়স ৩৫ হতে ৫০'এর ভেতর।
দ্বিতীয় খারাপ সংবাদটা আরও ভয়াবহ। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শতকরা ৯৫ ভাগ কার্যকর ফাইজার ও মডের্ণার দুই ডোজ ভ্যাক্সিন নেয়ার পরও এ পর্যন্ত ৫৮০০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর রেকর্ড করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫০০ জনের উপর রুগীর মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, এমনটা অপ্রত্যাশিত ছিলনা। ভ্যাক্সিন ট্রায়ালের সময়ই এর আলামত পাওয়া গিয়েছিল। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৮ কোটি মানুষ এ পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা নিয়েছে। শতকরা হিসাবে ব্রেক-থ্রু'র সংখ্যাটা খুবই সামান্য।
তৃতীয় খারাপ সংবাদ হচ্ছে ফাইজার ও মডের্ণা ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতার স্থায়িত্ব। ফাইহজার নিজেই ঘোষণা দিয়েছে তাদের বাজারজাত-কৃত ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ২য় ডোজ নেয়ার ৬ মাস পর দুর্বল হওয়া শুরু করবে। ফাইজার ইতিমধ্যে ৩য় বুষ্টার ডোজের উপর ট্রায়াল চালাচ্ছে।
চতুর্থ খারাপ সংবাদ হচ্ছে করোনা ও ভ্যাক্সিনের স্থায়িত্বের উপর।
সিডিসি'র মতে করোনা ও ভ্যাক্সিনের লড়াইয়ে আপাতত ভ্যাক্সিন জয়ী হলেও এই জয় স্থায়ী নয়। কোভিড-১৯ ভাইরাস আমাদের সাথে আরও অনেক বছর বসবাস করবে। এবং বেঁচে থাকার জন্যে প্রতিবছর আমাদের ভ্যাক্সিন নিতে হবে। যেমনটা অতীতে আমরা গুটি বসন্তের জন্যে নিয়েছিলাম।
এত খারাপ সংবাদের মাঝেও কিছু ভাল সংবাদ আছে। যার অন্যতম হচ্ছে, আরও বেশকটা ভ্যাক্সিন বাজারে আসার অপেক্ষা করছে, যা বদলে দিতে পারে ফাইটিং মেট্রিক্স।
ভাল খবর হচ্ছে, বাইডেন প্রশাসন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসকে স্থায়ী ভাবে নির্মূল করার গবেষণায়।
ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের গবেষণারত বৈজ্ঞানিকদের আপাতত রেকমেন্ডেশন হচ্ছে; দুই ডোজ ভ্যাক্সিন নেয়ার পরও মুখে মাস্ক, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা।