গেইন অব ফাংশন নামের এক প্রকল্পের অংশ হিসাবে চীনা বিজ্ঞানীরা জন্ম দিয়েছিল করোনা ভাইরাসের। এমন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া ভাইরাসকে আরও সংক্রামক করে মানব দেহে প্রবেশ করালে কি প্রতিক্রিয়া হয় তা বের করা।
তারই অংশ হিসাবে উহান ল্যাবের গবেষকরা বাঁদুরের মেরুদণ্ডে লুকিয়ে থাকা ন্যাচারাল করোনা সংগ্রহ করে তাতে স্পাইক যুক্ত করে গবেষণাগারে নিয়ে গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল আরও এজেন্ট সংমিশ্রণের মাধ্যমে এই ভাইরাসকে ভয়াবহ সংক্রমণ যুক্ত কোভিড-১৯'এ রূপ দেয়া। ব্রিটেনের প্রফেসর অ্যাঙ্গাস ডালগলেইশ এবং নরওয়ের বিজ্ঞানী ড. বারগার সোরেনসেন তাদের গবেষণায় এমন বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন।
লন্ডনের সেইন্ট জর্জেস ইউনিভার্সিটির অনকোলজির একজন প্রফেসর ডালগলেইশ। তিনি প্রথম কার্যকর ‘এইচআইভি টিকা’ নিয়ে বিস্ময়কর কাজ, রোগীদের সনাক্ত এবং চিকিৎসা নিয়ে কাজ করার জন্য সুপরিচিত। অন্যদিকে ওষুধ প্রস্ততকারক কোম্পানি ইমিউনর-এর চেয়ার হলেন ড. বারগার সোরেনসেন। তিনি একজন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ। তার প্রতিষ্ঠান ইমিউনর করোনা ভাইরাসের টিকা বায়োভ্যাক-১৯ প্রস্তুত করেছে।
এই দুই বিজ্ঞানীর মতে করোনা ভাইরাসের নমুনায় এমন সব আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া গেছে যা কেবল গবেষণাগার হতেই আসতে পারে। তবে চীনা বিজ্ঞানীদের সৃষ্ট এই ভাইরাস ল্যাব হতে অবমুক্ত হয়ে কোন উপায়ে বাইরে ছড়িয়ে পরিয়েছিল তা নিয়ে এখনো বিজ্ঞানীরা একমত হতে পারেনি।
অনেকের সন্দেহ গবেষণার অংশ হিসাবে ল্যাবের কাউকে গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। তাদের শরীরে কোভিড-১৯ পুশ করার পর যে কোন কারণেই হোক তা আর নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। অনেকের মতে, ল্যাবে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা হতেই সূত্রপাত হয়েছিল এর ব্যাপক প্রসার।
কথিত গেইন অব ফাংশন প্রকল্পে অংশ নেয়া চীনা বিজ্ঞানীদের অনেককেই পরবর্তীতে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে সরকার তাদের গুম করেছে অথবা পৃথিবী হতে সরিয়ে দিয়েছে। সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় সত্য লুকানোয় এ ধরণের সরকারী পদক্ষেপ খুবই স্বাভাবিক ও সার্বজনীন। এসব চলে আসছে সেই স্তালিন আমল হতে। আধুনাকালে এ ধরণের গুম ও খুনের ব্যাপক প্রয়োগ চলছে চীন ও উত্তর কোরিয়ায়। এ ব্যাপারে পুতিনের রাশিয়াও খুব একটা পিছিয়ে নেই।
করোনা-১৯'এর সৃষ্টি ও প্রসার যেভাবেই ঘটে থাকুক না কেন, চীনাদের এ ব্যাপারে মুখ খুলতে হবে। শেয়ার করেত হবে তথ্য। উন্মুক্ত করতে হবে উহান ল্যাবের কার্যক্রম। তবেই কেবল ঠেকানো যাবে এ ধরণের ভাইরাসের পুনর্জন্ম। বাইরের দুনিয়ার সন্দেহকে উড়িয়ে দিয়ে সবকিছু অস্বীকার করলেই চীনাদের দায়-দায়িত্ব শেষ হবেনা। কারণ বাকি বিশ্ব ভুলে গেলেও তারা ভুলবেনা যারা আপনজন হারিয়েছিল এই ভাইরাসের কারণে। স্বজন হারানোর এই সংখ্যাটা আজ ৩৬ লাখে পৌঁছেছে।