কেবল ক্ষমতার জন্যে তালেবানদের উচিৎ হবেনা তাদের মূল আদর্শ হতে সরে আসা। আফটার অল তারা ১,৭০০ সৈনিক নিয়ে তারেক ইবনে জিয়াদের মত স্পেন জয় করেনি। বরং নিজের দেশ দখলদার মুক্ত করেছে কেবল।
যে আদর্শের ভিত্তিতে তারা কোটি কোটি আফগানদের মন জয় করে প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসেছিল, উচিৎ হবে তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলা।
রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে ইসলামী শরীয়া আইন চালু করে তার কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা উচিৎ হবে তালেবান শাসনের মূল ভিত্তি।
প্রথম দফায় শরীয়া আইন চালুকরে তালেবানরা বিশ্ব-দরবারে মুসলমানদের অতীত ঐতিহ্যকে পুণঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তাদের শর্ট টার্ম ক্ষমতা প্রমাণ করেছিল এই আইন কতটা এফেক্টিভ। সমাজ হতে অন্যায়, অবিচার, ব্যভিচার দূর করায় শরীয়ার কোন বিকল্প আজ পর্যন্ত মানব সভ্যতা সামনে আনতে পারেনি।
সব বিচারে আধুনিক সভ্যতার তাবৎ সমস্যার সূতিকাগার হচ্ছে মহিলা সমাজ। মাথার চুল হতে পায়ের পাতা পর্যন্ত আবৃত করে তাদের ভোগের সামগ্রী হিসাবে চার দেয়ালে আটকে রাখলেই দেশ হতে দূর হতে পারে হত্যা, গুম, খুন আর ধর্ষণ। তালেবানরা তা ইতিমধ্যে প্রমাণ করে গেছে।
মহিলাদের জন্ম পুরুষদের সেবা করার জন্য। আসল কাজ ফেলে যে সমাজে মহিলারা স্কুল, কলেজে যাওয়ার চেষ্টা করে ধরে নিতে হবে সে সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ লঙ্ঘিত হতে বাধ্য। তাই তালেবানদের আগের টার্মের মত এবারও উচিৎ হবে গোটা মহিলা সমাজের লেখাপড়া অবৈধ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট স্কুল, কলেজগুলো গুড়িয়ে দেয়া।
কল্পনা করা যায় আমাদের মা বোনরা ঘরের পুরুষদের সাথে না নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছে!
শরীয়া আইনের এমন গুরুতর লঙ্ঘনের জন্যে তালেবানরা যে শাস্তির বিধান করেছিল তা বাকি বিশ্বের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে।
গান, বাজনা, সিনেমা, এসব ইসলাম ধর্মে হারাম। আপনি নিজকে ধার্মিক বলে দাবি করবেন আবার তলে তলে গানও শুনবেন, সানি লিওনের নর্তন মর্দন দেখবেন, আপনি তো মুসলমান না। এর সমাধান তালেবানদের হাতে আছে।
প্রথম টার্মে জনৈক ব্রিটিশ সাংবাদিক কাবুলের রাস্তায় ঘুরে একটা মাত্র মিউজিকের দোকান আবিষ্কার করেছিলেন। এবং সে দোকানের একমাত্র পণ্য ছিল কোরান তেলাওয়াতের ক্যাসেট।
অনেকে আশংকা করছেন তালেবানরা হয়ত এ যাত্রায় অনেক নমনীয় হবে। বিশেষকরে মহিলাদের ব্যপারে। এবং তার আসল কারণ রাজনৈতিক ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যে বাকি বিশ্বের স্বীকৃতি পাওয়া।
বাংলাদেশ যেমন শেখ মুজিবের স্বপ্ন হতে সরে যেতে পারেনা, তেমনি তালেবানরাও পারেনা শরীয়া আইন হতে আলাদা হতে। যদি হয়, তা হবে স্বাধীনচেতা আফগান জাতির সাথে বেঈমানি!
বাকি বিশ্বের খাঁটি মুসলমানদের উচিৎ হবে এখনি ভিসার জন্যে স্ব স্ব দেশের আফগান দূতাবাসে লাইন ধরা। আপনি মুসলমান অথচ খায়েশ করবেন কাফেরদের দেশে হিজরত করার...এমনটা ইসলাম ধর্মের সাথে বিট্রে করার শামিল। মার্ক্স-এঙ্গেলস আর লেনিনের অনুসারীরা একসময় স্বপ্ন দেখতেন গোটা দুনিয়া সমাজতন্ত্রের পতাকা-তলে অবনত হচ্ছে। আপনার মনে ইসলাম নিয়ে এমন কোন খায়েশ থাকলে এখুনি কাবুলের ফ্লাইট ধরার জন্যে ঘর হতে বেরিয়ে পরুন।