২ লাখ রুশ সৈন্য সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশী ইউক্রেইনে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট হচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্ট ফুলস্কেল আক্রমণের অনুমতি দিয়েছেন। অন্যদিকে ইউক্রেইনিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জালেনস্কি দেশে জরুরি অবস্থা জারী করেছেন এবং যুদ্ধের জন্যে ইউক্রেইন-বাসীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
রুশরা আক্রমণ শুরু করলে ইউক্রনিয়ান শরণার্থীদের স্রোত ধেয়ে আসবে ইউরোপের অনেক দেশে। কমপক্ষে ৫০ লাখ ইউক্রেনিয়ান পোল্যান্ড হয়ে পশ্চিম ইউরোপে প্রবেশ করার আশংকা দেখছেন অনেকে। বদলে যেতে পারে ইউরোপের অনেক দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভারসাম্য।
আধাঘণ্টার ভেতর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ইউক্রেইনের অনুরোধে (ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে)। পশ্চিম ইউরোপ ও ন্যাটো বৈঠক করছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন ও কার্যকর অবরোধ আরোপের। এটা নিশ্চিত আমেরিকা অথবা ন্যাটো এ যাত্রায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে সন্মুখ যুদ্ধে নামবে না। কিন্তু মাঠের যুদ্ধের চাইতেও কার্যকর যুদ্ধ হবে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। রাশিয়াকে অবশ্যই একঘরে করতে যাচ্ছে বাকি বিশ্ব। কেবল এক ব্যক্তি এক দলীয় স্বৈরশাসনের দেশ চীন সাইড-লাইনে বসে দেখছে এ ক্রাইসিস। পণ্ডিতদের আংশকা ২০১৪ সালের মত এ যাত্রায়ও রুশরা পার পেয়ে গেলে তাইওয়ানে চীনের আগ্রাসনকে উৎসাহিত করবে।
রুশ আগ্রাসনের এ অনিশ্চিত অবস্থায় ইউক্রেইনের অনেক শহরে ছড়িয়ে থাকা আমার ইউক্রেনিয়ান বন্ধুদের জন্যে সহমর্মিতা রইলো। শিল্প শহর ঝাপারোঝিয়া, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সেন্টার খারকিভ ও রাজধানী কিয়িভে অনেক মধুর সময় কাটানো স্মৃতি পিছনে ফেলে এসেছি। একনায়ক-তান্ত্রিক স্বৈরশাসনের দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের লৌহবলয় হতে বেরিয়ে ইউক্রেইন শুরু করেছিল তাদের গণতান্ত্রিক যাত্রা। রুশ প্রেসিডেন্টের জন্যে এ যাত্রা হুমকি। কারণ ঘরের পাশে গণতন্ত্রের সুফল ডেকে আনতে পারে তার আমরণ ক্ষমতায় থাকার রোডম্যাপ।
যুদ্ধ কাম্য নয়। কিন্তু কিছু মানুষের জন্যে এসব যুদ্ধ বাধ্যমূলক। পুতিন তার অন্যতম। রুশ সৈন্যরা ইউক্রেইনের মাটিতে পা রাখলে গোটা মুক্ত-বিশ্ব ইউক্রেইনের পাশে থাকবে।
গুম খুন ক্রসফায়ার লুটপাট ফুলফ্রণ্টাল যুদ্ধেরই অন্য ভার্সন। একজন ট্যাংক নিয়ে মাঠে নামে অন্যজন রাতের অন্ধকারে বিরোধীদের উঠিয়ে নেয়। ওরা মায়ের পেটের মামতো ভাই-বোন।
জয় হোক শান্তির।