এ পর্যন্ত ৪০ জন শিশু সহ ৬৪৪ জন সিভিলিয়ানের মৃত্যু রেকর্ড করেছে ইউক্রেইন। যুদ্ধ আরও বিস্মৃত হচ্ছে। ইউক্রেইনের সাধারণ জনগণ অস্ত্র হাতে রাস্তায় নেমে আসছে রুশ সৈন্যদের মোকাবেলা করার জন্যে। ইউক্রেইন অভিযান যেমনটা আশা করছিলেন এই স্বৈরশাসক ঠিক সেভাবে এগুচ্ছেনা। হতাশ হওয়ার মত যথেষ্ট কারণ জমা হচ্ছে পুতিনের টেবিলে।
ক্রমবর্ধমান ক্রাইসিসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে পুতিন তার পারমানবিক টীমকে হাই এলার্টে নিয়ে আসার কারণে। যুদ্ধের ভবিষৎ নিয়ে বাড়ছে অনিশ্চয়তা। ঠিক এমন সময় যুদ্ধে লিপ্ত দুইপক্ষ ইউক্রেইন বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসতে রাজী হয়েছে। ইউক্রেইনের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটার প্রধানমন্ত্রী Denys Shmyhal। অপর পক্ষে কে আসবেন তা পরিস্কার করা হয়নি।
ইউক্রেইনকে ন্যাটোর সদস্যপদ হতে দূরে রাখা যদি যুদ্ধের অন্যতম টার্গেট হয়ে থাকে তাহলে পুতিনের জন্য নতুন দুঃসংবাদ হচ্ছে রাশিয়ার প্রতিবেশি দেশ ফিনল্যান্ডের জনগণ এই জোটে যোগ দেয়ার জন্যে দেশটার সরকারকে চাপ দিচ্ছে। ফিনিশ জনসংখ্যার শতকরা ৪৭ ভাগ মানুষ এর পক্ষে, ২৫ ভাগ বিপক্ষে এবং বাকি অংশ আনডিসাইডেট। একই পরিবর্তন আসছে স্ক্যান্ডেনেভিয়ার আরেক দেশ সুইডেনে।
উল্লেখ্য ফিনল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার ১৩৪০ কিলোমিটার সীমান্ত যা এতকাল নিরাপদ সীমান্ত হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছিল। রাশিয়ার ইউক্রেইন আক্রমণ বদলে দিয়েছে সে সমীকরণ।
এ মুহূর্তে যুদ্ধের লাভ-ক্ষতির সমীকরণ টানা হবে প্রিমেচ্যুরড। শর্ট টার্মে নিশ্চয় পুতিন লাভবান হবেন, কিন্তু লং টার্মে এর ফলাফল কি হবে তা ফিনিশ ও সুইডিস জনগণের মনোভাব হতে কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায়।