সংস্কৃতি খাম্বা নয় যে আজীবন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে। এর বিবর্তন হয় এবং অর্থনীতির চাকায় চড়ে এগিয়ে অথবা পিছিয়ে যায়। এ আমার কথা নয়, গুণীজনদের কথা।
আমাদের সংস্কৃতিও এক জায়গায় আটকে নেই। নীরবে নিঃশব্দে এর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সামনে আরও হবে। আমি যখন স্কুলে পড়তাম চৈত্রের শেষে চৈত্র সংক্রান্তি, বৈশাখের শুরুতে হালখাতা, নবান্নের উৎসব, এসবই ছিল বাংলা বর্ষবরণের সংস্কৃতি।
সময় এখন ভিন্ন। প্রজন্মের বদল হয়েছে। অর্থনীতির চাকায় লেগেছে হাওয়া। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বাজারে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নতি। আমাদের চিন্তা ভাবনায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সবকিছুর সাথে তাল মেলাতে সংস্কৃতিতে আসবেনা পরিবর্তন এমনটা ভাবাও অন্যায়।
বিশেষ একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের মাথায় জন্ম নিয়েছিল মঙ্গল যাত্রার ধারণা। প্রথমে ওরা এবং পরিবর্তীতে অনেকেই সম্পৃক্ত হয় এর সাথে। মঙ্গল শোভাযাত্রা ধীরে ধীরে স্থান করে নিচ্ছে বর্ষবরণের সংস্কৃতিতে।
নতুন কিছু মেনে নেয়া পুরানোদের জন্যে অনেক কষ্টের। বিশেষকরে সংস্কৃতি অঙ্গনে। মঙ্গল শোভাযাত্রাও এর বাইরে নয়। অনেকের কাছে এ যাত্রা আমাদের ধর্মীয় আচারের সাথে সাংঘর্ষিক।
ধর্মীয় আচারও কি আমাদের নিজেদের ছিল? ওসব কি আরব দেশ হতে আসেনি?
মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে আহাজারি না করে পরবর্তী প্রজন্মের বর্ষবরণের অংশ হিসাবে মেনে নিতে অসুবিধাটা কোথায়?