সোশ্যাল মিডিয়ায় সপ্তাহ-খানেক ধরে ট্রলের বন্যা বয়ে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের 'হিট অফিসার' নিয়োগ নিয়ে। যতটা না নিয়োগ তার চাইতে অনেক বেশী ট্রল করা হচ্ছে খোদ হিট অফিসারকে নিয়ে।
কর্পোরেশনের মেয়র এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন নিজ কন্যা বুশরা আরেফিনকে। নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা মেনে নেয়া যেতে পারে, কিন্তু নিজ কন্যাকে এই পদে নিয়োগ দেয়ার বৈধতা মেয়র কোন গ্রাউন্ডে জাস্টিফাই করবেন তার কোন রূপরেখা আমাদের দেননি।
অবাক করা কাণ্ড হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই কারণের একটা নিয়েও হৈ চৈ হয়নি। সবাই হামলে পরেছে বুশরা আরেফিনের চেহারা ও তার পোশাক-আশাক নিয়ে!
যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, লসএঞ্জেলেস, চিলির সান্টিয়াগো, সিয়েরা লিওনের সান্টিয়াগো, গ্রিসের এথেন্স ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে চিফ হিট অফিসার রয়েছে। এসব শহরে এজেন্সির প্রধান পদে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের সবাই স্ব স্ব কাজে বিশেষজ্ঞ। জনাবা বুশরার যোগ্যতা কোন মাপকাঠিতে নির্ণয় করা হয়েছে তা নিয়েও আমাদের প্রশ্ন তোলা উচিৎ।
আসল সমস্যা হচ্ছে এই মেয়র জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। বাকি সব ভোটের মতই বাটপারির মাধ্যমে জনাব আতিক মেয়রের চেয়ারে বসেছেন। উনি যা করবেন বা যাকেই নিয়োগ দেবেন সবটাই হবে অবৈধ। আমাদের ট্রল হওয়া উচিৎ এ লাইনে।
মেয়র নিজের কন্যাকে হিট অফিসার পদে নিয়োগ দেয়ায় যারা আকাশ হতে পরেছেন তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই কথিত তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসাবে আমাদের অনির্বাচিত সরকার প্রধান যাকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি আর কেউ নন উনার নিজের একমাত্র পুত্র। মাসে ২ লাখ ডলার বেতনের নামে যে অর্থ বিদেশে পাচার করছেন তারই লোকাল ভার্সন হচ্ছে বুশরা আরেফিনের নিয়োগ।
বোধহয় উক্তিটা ভারতের প্রায়ত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর, গরীব নয়, গরিবি হটাও। এখানে বুশরা আরেফিনের নিয়োগ অথবা তার আকর্ষণীয় পোশাক কোন সমস্যা হওয়ার কথা না, বরং তার নিয়োগ-দাতা ও নিয়োগ-দাতার নিয়োগ-দাতা আমাদের সমস্যা। হটাতে চাইলে আগে ওদের হটান।