ভারতের বিমান বাহিনীকে বাংলাদেশের বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য মানবিক ও অন্যান্য সহায়তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভারতের বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমান ঘাঁটিগুলোতে আই-এল হেভী লিফট ও এ এন মিডিয়াম লিফট বিমানগুলোকে নির্দেশ পাওয়া মাত্র সহায়তা দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সাহায্য চাইলেই এ ধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। একদিকে ভারত ৭১ এর মত সহযোগীতার ডালী নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার জন্য উন্মুখ , অপর দিকে ভারতের মিডিয়া জোরে সোরে প্রচার প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে পিলখানা গণহত্যার পিছনে পাকিন্তান এবং বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী জড়িত রয়েছে ! বাংলাদেশের ভারতপন্থী গণমাধ্যম , ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পেইং এজেন্ট আমাদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক ঘটনা শুরুর সাথে সাথে বি ডি আরের পক্ষ অবলম্বন করে , এবং এক যোগে সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকে । পাশাপাশি মির্যা আজম ও নানক সমঝোতার নামে সময় ক্ষেপন করতে থাকে, যাতে হত্যাকান্ড সম্পন্ন করে খুনিরা নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারে । শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যমের একাংশ এবং সরকারের দুই আলোচকের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে ইতিহসের বর্বরোচিত ও ঘৃন্য হত্যাকান্ড সম্পন্ন করে হাজার হাজার বিডিআর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । মজার ব্যাপার হলো , খুনিরা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সরকার ও মিডিয়ার এই একাংশের চেহারা পাল্টে যায় । তারা মুহুর্তেই সেনাবাহিনী ও নিহতদের জন্য উপচে পড়া দরদ নিয়ে মাতম শুরু করে দেয় । ততক্ষণে ভারতিয় মিডিয়া তাদের গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে ঘটনার জন্য প্রথম বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীকে পরক্ষণে আইএসআইকে দোষারোপ করতে থাকে । ভারতীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে বাংলাদেশের ভারতপন্থি মিডিয়াগলোও তা প্রচার করা শুরু করে । এর পর টক শো গুলো শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও বিদেশী ও জঙ্গীদেরকে পিলখানা ট্রেজেডির সাথে সম্পৃক্ত করার এসাইনমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করে দেয় । ঘটনার দিন থেকে আজ পর্যন্ত চ্যানেল আই এর তৃতীয়মাত্রা , বাংলা ভিশণের জনতার মুখোমুখী ও রাকিন সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিটি অনুষ্ঠান যদি কেউ পর্যালোচনা করে তাহলে আমার কথার যথার্থতা ফুটে ওঠবে ।