অতি আদরের পুত্রবর,
এই চিঠি যখন তোমার হাতে পৌছাইবে হয়ত মিলিয়ন বছর পার হইয়া যাইবে, এই দুনিয়ার নিয়ম কানুনই এই রকম বিদ্ঘূটে। তোমার মেরুদন্ডের জোড়াজাড়ি গুলি আবারও খুলিয়া পরিতেছে জানিয়া বড়ই কষ্ট পাইতেছি। তোমার প্রথম শ্বশুর আব্বা তাহার কন্যার অপমান সাইতে না পারিয়া তোমার মেরুদন্ডের উপর আঘাত করিয়া যে অন্যায় করিয়াছে তাহার বিচারের ভার আমার উপর ছাড়িয়া দাও। তাহারা যখন এই দুনিয়ার ভিসা পাইবে, হাড় ভাংগা কাহাকে বলে বুঝাইয়া দিব। জানিতে পারিয়া বড়ই কষ্ট পাইতেছি যে, তুমি তোমার সৎ ভাইয়ের মায়ায় দেশ ছাড়িতে চাহিতেছনা। ইহা কেন? তাহার ত আপন আব্বাহুজুর ছাড়াও একজন সৎ আব্বা রহিয়াছে। ড্রাগ আসক্ত আর সিফিলিসে আক্রান্ত এই দুঃশ্চরিত্রের সৎ ভাইয়ের কথা ভাবিয়া নিজেকে এত কষ্ট দিবার কোন প্রয়োজন আছে বলিয়া আমি মনে করিনা। নিজের ভালমন্দ নিজকেই দেখিতে হইবে।
তোমাকে হয়ত ইতিপূর্বে জানাইয়া থাকিব, ইশ্বর আমাকে হাবিয়ার পুতুলকলি সেলে ট্রান্সফার করিয়াছে। বাবা, ইহা বড়ই কষ্টের, তোমার চম্পাকলি আমার পুতুলকলি হইতে ১ কোটি গুন ভাল। জানিয়া রাখ, দোজখ্-এ হাবিয়ার এটাই সর্ব নিকৃষ্ট জায়গা। আমার আশেপাশে তোমার অনেক আংকেলরা বাস করিয়া থাকে যাহাদের সাথে আমার এখন বড়ই মধুর সম্পর্ক, তবে তোমার ধর্মনানা শেখ মুজিবকে নিয়া বড় বিপদে আছি। কি কোন কায়দা-কানুনে উনি এখন জান্নাতে হিজরত করিয়া সর্বদা আমার বিরুদ্বে বিষেদ্গার করিতেছেন। ইশ্বরও উনার নাচে তাল দিতেছেন। তোমার মোশতাক আংকেল আমার কাছে আবারও তোমার ধর্মনানার বিচার চাহিতেছেন। ইহা নিয়া নিজেদের ভেতর আবারও পরিকল্পনা করিতেছিলাম, কিন্তূ তোমার লেংড়া তাহের আংকেল বিশ্বাষঘাতকতা করিয়া ইশ্বরকে বলিয়া দিয়াছে। তাহা ছাড়া, তোমার যে ২৪০ জন আংকেলদের আমি জবাই করিয়া ছিলাম তাহারা একহাট্টা হইয়া আমার বিরুদ্বে নালিশ করিতেছে। ইশ্বর গোস্বা করিয়া আমাকে পুতুলকলি নামের এই শ্মশানে পাঠাইয়া দিয়াছে। কোন ষড়যন্ত্রই কাজ করিতেছেনা।
যাহাই হোক, এইবার আসা যাক যেই কারনে তোমাকে লিখিতেছি। বাবা, আমার মর্ত্যলোক ত্যাগ করিবার পর তোমরা আমার স্যুটকেসকে রাতারাতি ভাংগিয়া আর লুংগি ছিড়িয়া যে ব্যবসা ফাদিয়াছিলে এই রকম একটি ব্যবসা এইখানে ফাদিয়া ইশ্বরের
কৃপা পাইবার বাসনা করিতেছি। ভিসা পাইবার আগে কষ্ট করিয়া এই রকম একটা স্যুটকেস আর কিছু কাপড় ছিড়িয়া আমার জন্যে নিয়া আসিবা। ইশ্বরের মন গলাইবার ইহাই শেষ রাস্তা।
আরেকটা কথা, আমি বান্দির বাচ্চা মোসাদ্দেইক্কার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করিতেছি, তুমি এই ব্যটা হইতে দূরে থাকিবার চেষ্টা করিবা। অফিসের দাড়োয়ান পিয়নের সাথে এই রকম করিয়া তোমার আম্মাহুজুর আমাকে বড়ই লজ্জায় ফেলিতেছে। শুনিতেছি তোমার আম্মাহুজুর আর ফালু চোরা গোপনে ইশ্বরের সাথে যোগাযোগ করিয়া এই পুতুলকলি সেল বানাইতে অর্থ যোগাইয়াছে। উনার চরিত্র নিয়া একবার মহা গোলামাল হইয়াছিল যাহা তুমি জানিয়া থাকিবে, উনি শেখ মুজিবকে ধর্ম-বাবা ডাকিয়া ঐ যাত্রায় ইজ্জত বাচাইয়াছিল।
যাহাই হোক, এ সব বলিয়া তোমার মন খারাপ করাইতে চাইনা। তোমার ভিসা হইয়া গেলে আমাকে জানাইও, দেখি কি করা যায়। ফেরেস্তাদের আমার দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করিতেছি। ইশ্বরকে তাহার রাজত্ত্বে বাদশাহগীরি করা আমি জটিল করিয়া তুলিব।
ভাল থাকিও। নতুন বৌমাকে পিটাইওনা, কারন তাহার বাবা এডমিরাল এম এ খান এখন আমার মেহমান। তোমার বর্তমান শ্বাশুড়ি আম্মা বড়ই দজ্জাল এবং পুরুষ খেকো। সাবধানে চলিবা, নতুন করিয়া মেরুদন্ডের ক্ষতি করিবানা।
আজ এই পর্য্যন্তই থাকিল। তোমার আম্মাহুজুরকে এই পত্রের কথা বলিবানা।