আপনি কি রেস্টুরেন্টে প্রায়ই খেতে ভালবাসেন? তাহলে নীচের আরর্টিকেলটা পড়ুন।
১/ হলিডে এবং সপ্তাহের ছুটিতে (বিশেষকরে শুক্রবার এবং শনিবার) রেস্টুরেন্টে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারন এই সময়ে অনেকই বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। তখন রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরের ব্যস্ততাও বেড়ে যায় বহুগুন এবং পরিবেশিত খাবারের মান হয়ে যায় নিম্নমানের।
২/ এমন কোন দিন নেই রেস্টুরেন্টে কোন না কোন কর্মচারী অসুস্হ থাকে। বিশেষকরে বড় বড় রেস্টুরেন্টগুলতে। সামান্য সর্দি-কাশির জন্য রেস্টুরেন্টের ওয়েটার-ওয়েট্রেস-বাসবয় সাধারনত কাজ করা থেকে বিরত থাকে না। কারন স্পষ্ট। কাজ না করলে পয়সা নেই। তাই সামান্য অসুস্হতা নিয়ে এরা কাজ করছে এবং আপনার খাবার সার্ভ করছে।
৩/ ধরুন কোন কারনে আপনি আপনার ওয়েটার-ওয়েট্রেসের সার্ভিসের ওপর অসন্তষ্ট হলেন । আপনি রেগে গিয়ে তাকে দুই-একটা কথা বললেন। আপনার খাবার পরিবেশন করার আগে যদি সেই ওয়েটার-ওয়েট্রেস খাবারে থুথু মিশিয়ে তারপর যদি পরিবেশন করে, আপনি কি সেটা জানতে পারবেন? তাই ওয়েটার-ওয়েট্রেসদের সাথে র্দুব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৪/ এই উপদেশটা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্যের কাছ থেকে আপনি যেমন ব্যবহার আশা করেন, তার সাথেও আপনি সেরকম ব্যবহার করবেন।
৫/ আপনার ওয়েটার-ওয়েট্রেসের সাথে আংগুল তুলে বা টেবিল থাপড়িয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৬/ আপনার ওয়েটার-ওয়েট্রেসকে এমন কিছুর অর্ডার করবেন না যেটা মেন্যুতে নেই।
৭/ কোন ওয়েটার-ওয়েট্রেসের সার্ভিসে আপনি যদি সন্তষ্ট হন, তাহলে পরবর্তীতে তার টেবিলেই বসুন। সেই ওয়েটার-ওয়েট্রেস আপনার ওপর ভাল ধারনা পোষন করবে এবং আপনাকে ভাল সেবা প্রদান করবে।
৮/ খাবার পর যদি ওয়েটার-ওয়েট্রেসকে বখশিশ দিতে না পারেন, তাহলে আপনার জন্য রেস্টুরেন্টে না খাওয়াই ভাল।
৯/ খাবার পর্ব শেষ করে বিল দেবার পর আড্ডা না দিয়ে তাড়াতাড়ি টেবিল ছেড়ে দিন। কারন সেই টেবিলে হয়তো বসার জন্য আরেকজন কাষ্টমার অপেক্ষা করছে।
১০/ কখনোই রেস্টুরেন্ট বন্ধের ১৫-২০ মিনিট আগে খাবারের জন্য রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করবেন না। শেফ/কুকরা তখন থাকে ক্লান্ত এবং ঘরে ফেরার জন্য থাকে ব্যস্ত। সেই সময় যদি আপনি খাবারের জন্য রেস্টুরেন্টে যান, তখন খাবারও মিলবে নিম্নমানের।