প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের রাজনীতিতে হরতাল, জ্বালাও পোড়াও, লগি-বৈঠার কোন বিকল্প গড়ে উঠেছে কিনা তা আমাদের জানা নেই। ডিজিটাল যুগে এসব এনালগ অস্ত্রের ধার নিশ্চয় কমে এসেছে, নইলে ক্ষমতার সোনালী মসনদ হতে আলী বাবা ৪০ চোরের দল ছিটকে পরেও কেন পারছেনা অস্ত্রগুলো ব্যবহার করতে? সংগত কারণেই নিউ জেনারেশন অস্ত্রের সন্ধান এখন সময়ের দাবী। সবাইকে অবাক করে এ ধরনের দাবি মেটাতে আমাদের বিরোধী দলীয় নেত্রী ডিজিটাল দুনিয়ার সাহায্য না চেয়ে ফিরে গেলেন সেই আয়েমে জাহেলিয়াতের যুগে। পাঠকদের নিশ্চয় মনে আছে নবীজির চলার পথে কাটা বিছানো সেই বুঁড়ির কথা? আসছি সে প্রসংগে।
আমাদের সরকার প্রধান আগামী ১০ই জানুয়ারী প্রতিবেশী দেশ ভারতে যাচ্ছেন অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এ সফর হতে বড় ধরনের প্রাপ্তি আশা করছে, যা তাদের ভবিষৎ রাজনীতির গাইডিং লাইট হিসাবে ব্যবহ্রত হতে পারে। বিরোধী দল বলছে, not so fast! প্রত্যাশা হতে একচুল কম নিয়ে দেশে ফিরলে ফেরার পথ কাঁটা বিছিয়ে দুর্বিসহ করা হবে। তবে আশার কথা, হুমকির সাথে কিছু অভয় বানীও মেশানো আছে; যেমন, পরিমান মত আনা গেলে হ্যাপী ভাগাভাগির নিশ্চয়তা। ভারত হতে প্রধানমন্ত্রী কত মন প্রাপ্তি নিয়ে দেশে ফিরলে নিজদের উদর পূর্তি এবং আলীবাবা ৪০ চোর+মর্জিনাদের উদর পূর্তি করাতে পারবেন তা নিরুপনের জন্যে এখনই বাইশ হাজার অংকবিদ সাথে বাইশ মন মোমবাতী যোগাড় করা প্রয়োজন। কারণ এ হিসাব হবে লম্বা, ক্লান্তিকর ও জটিল।
রাজনৈতিক সাংস্কৃতিতে কাঁটা বিছানোর চ্যালেঞ্জ একেবারেই নতুন, অপ্রত্যাশিত এবং অভাবিত। এ যাত্রায় চ্যালেঞ্জের ফলাফল যাই হোকনা কেন, প্রত্যাশার শেষ অংকে কতটা মহানুভবতা থাকতে পারে তার উদাহরন রেখে গেছেন আমাদের নবীজি। নবীজির মহানুভবতায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী পারবেন কি ছেটানো কাঁটা দূরে ফেলে বৈরী প্রতিপক্ষকে বুকে তুলে নিতে? সময়ই এ প্রশ্নের জবাব দেবে। এ ফাঁকে আমরা যারা আমজনতা আসুন শক্ত হয়ে বসি এবং উপভোগ করি দেশ নিয়ে দুই মাফিয়া পরিবারের ঈঁদুর-বেড়াল খেলা।