পত্রিকার সম্পাদকদের সাধারনত বুদ্বিজীবি হিসাবে গন্য করতেই আমরা অভ্যস্ত। এ অভ্যাসের তালিকায় ’আমাদের সময়’ সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের নাম থাকবে তাতে কারও অবাক হওয়ার কথা নয়। এবার আসুন এই সম্পাদকের সাম্প্রতিক কিছু শিল্পকর্মের দিকে চোখ বুলাই এবং নিজেই বিচার করি এই সস্পাদকের সৃষ্টিকর্ম। নীচের লেখাগুলো খান সাহেব নিজ সম্পাদনায়, নিজ নামে, নিজ পত্রিকার প্রথম পাতায় নিজ দায়িত্বে প্রকাশ করেছেনঃ
নাঈমুল ইসলাম খান সপরিবারে কানাডায়
দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান এখন সপরিবারে কানাডায় পৌঁছেছেন। স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি সেখানে থাকবেন তিন মাস। সম্পাদক তার দু’কন্যা লাবিবা ও যূলিকাকে নিয়ে ফিরে আসবেন ১৮ মে। ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে সম্পাদকের কানাডা যাওয়া নিয়ে তিনি ফিরে এসে সময় ও সুযোগ মতো লিখবেন। কানাডায় অন্যান্য কাজের মধ্যে মেয়েদের নিয়ে বেড়ানো ছাড়াও তিনি বিভিন্ন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও সেখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে মিলিত হবেন।
নাঈমুল ইসলাম খান জাপান সফরে গেছেন
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান ৪ দিনের সফরে আজ জাপান গেছেন। জাপানের বিবেক বার্তা ডটকম-এর সম্পাদক রিবায়রো প্লাসিড পালের আমন্ত্রণে তিনি সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন। নাঈমুল ইসলাম খান জাপানের ক্রিসমাস উৎসব এবং নববর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং ফেরার আগে হিরোশিমা ও নাগাসাকিসহ টোকিওর কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন।
জনাব খান ১ জানুয়ারি জাপান ত্যাগ করে থাইল্যান্ড আসবেন এবং ২ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন বলে কথা রয়েছে।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক ওয়ার্ল্ড নিউজপেপার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন
৬২তম ওয়ার্ল্ড নিউজপেপার কংগ্রেস ও ১৬তম ওয়ার্ল্ড এডিটরস ফোরামে অংশ নিতে দৈনিক আমাদের অর্থনীতি’র সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান এখন ভারতের হায়দরাবাদে। তিনি ৪ ডিসেম্বর ফিরে আসবেন। নিউজপেপার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওয়ার্ল্ড এডিটরস ফোরামের সদস্য
নাঈমুল ইসলাম খান সেখানে ১৬তম ইনফো সার্ভিসেস এক্সপো পরিদর্শনও করবেন।
খান সাহেব আজকের সংখ্যায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খানকে একহাত নিয়েছেন ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যে। গত ১০ই জানুয়ারী মন্ত্রী প্রপার্টি ডেভোলাপারদের এক সমাবেশে এই ব্যবসার উদ্যোক্তাদের বলেছিলেন, "পানিতে টাকা ঢাল, স্বপ্নের ঠিকানা নামে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছেন আপনারা। ঘুমান কীভাবে? ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেন কীভাবে? আপনাদের লজ্জা হয় না! বিষ খেয়ে আপনাদের মরতে ইচ্ছে করে না? অন্যের জমি নিজের নামে বিক্রি করেন, লজ্জা হয় না!" মন্ত্রীর এই খোলামেলা কথার কারনে স্বার্থবাদীরা নাখোস হবেন তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তূ সবাইকে অবাক করে দিয়ে মন্ত্রীর কথার প্রতিবাদ করতে সর্বপ্রথম যিনি এগিয়ে আসলেন তিনি আর কেউ নন, আমাদের স্বানামধন্য সর্বজনাব নাঈমুল ইসলাম খান http://www.amadershomoy.com/content/2010/01/18/news0241.htm।
বাংলাদেশে ভূমি দস্যুদের খপ্পর কতটা ভয়াবহ তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে। নাঈমুল ইসলাম কতটা র্নিলজ্জ, বেহায়া হলে দস্যুদের পক্ষ নিয়ে তার বহুল প্রচারিত দৈনিকে কথা বলতে পারেন তা বুঝতে এই "বুদ্বিজীবির" টাকা কামানোর ধান্ধাবাজীর সাথে পরিচিত হতে হবে। ধিক জনাব খান!!!