ডাঃ সাব্রিনাকে সৃষ্টিকর্তা রূপ ও মেধা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। রূপের সবটাই হয়ত সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি। যার কিছু নমুনা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় জোয়ারের মত ভেসে বেড়াচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি আর দশটা পুরুষের মতই সৌন্দর্যের পূজারি। রূপের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে কেউ যদি ট্র্যাডিশনাল পোশাকের বাইরে গিয়ে এমনকিছু পরিধান করেন যা তার ঈশ্বর প্রদত্ত শরীরের বাঁকগুলো প্রস্ফুটিত করতে সহায়তা করে, আমি তার পক্ষে। এ পর্যন্ত এই ডাক্তারের যতগুলো ছবি নেট-দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছ তার প্রায় সবগুলিই নিখুঁত ও পুরুষের দৃষ্টি কাড়ার মত। এ নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। ডাক্তার সাব্রিনা ডাক্তারি বিদ্যার পাশাপাশি নিজের রূপ ও সৌন্দর্যকেও তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তাতে একদিকে কার্ডিওলজিষ্ট হিসাবে রুগীদের যেমন উপকার করেছেন, তেমনি সৌন্দর্য চর্চার বিরানভূমি বাংলাদেশের কোটি কোটি পুরুষদেরও মনোরঞ্জন করেছেন। আমার মত অনেকের কৃতজ্ঞতা তিনি পেতেই পারেন। এমন দৃষ্টিনন্দন রূপ নিয়ে একজনের চতুর্থ স্ত্রী হিসাবে কেন সংসার করছেন তা একান্তই উনার ব্যক্তিগত ব্যপার। এসব নিয়ে ট্রল করা অনেকটা আত্মপ্রসাদ লাভের শামিল। সবকিছু ছাপিয়ে একজন ডাক্তার হয়ে করোনা টেস্ট নিয়ে তিনি যে প্রতারণা করেছেন তা যেকোনো বিচারে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার মত অপরাধ। এ অপরাধ উনার শরীরের বাঁক অথবা সৌর্ন্দয্যচর্চা দিয়ে অবমুক্ত করার উপায় নেই।
মেডিক্যাল ফিল্ডে এধরণের মরণঘাতি ম্যালপ্রাকটিসের প্রথম শাস্তি অপরাধীর প্রাকটিসিং লাইসেন্স কেড়ে নেয়া। এ পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি তাতে এ ধরণের শাস্তির কোন আলামত দেখা যাচ্ছেনা। এই ডাক্তারকে তার কর্মক্ষেত্র হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বরখাস্তের বাংলাদেশি অনুবাদ কি তা নতুন করে বলার দাবি রাখেনা। আমাদের সবার তা জানা। আমরা প্রতিদিন এ ধরণের সাময়িক বরখাস্তের নমুনা দেখছি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে।
ডাক্তার সাব্রিনা মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছেন। হয়ত নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেয়ে অনেকে চিকিৎসার দ্বারস্থ না হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন। অনেকে আবার বিদেশে গিয়ে নিজেরা যেমন হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তেমনি দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে করেছেন অপদস্থ। এ ক্রাইম একদিকে ক্রাইম এগেইনষ্ট হিউম্যানটি, তেমনি কঠিন শাস্তিযোগ্য ট্রিজন। আদৌ কি বিচারের মুখোমুখি হবেন তিনি? এখানেই আসে মধ্যরাতের নির্বাচনের প্রসঙ্গ। জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা। অপরাধের বীজ আসলে বপিত হয়েছে সেই মধ্যরাতে। এখন সে বীজ হতে চারা গজাচ্ছে। ধীরে ধীরে চাড়া বড় হয়ে গাছে পরিণত হচ্ছে। গাছ ডালপালা ছড়াচ্ছে। সাব্রিনা, তার স্বামী ও শাহেদ এরা সবাই সে ডালপালারই অংশ। সন্দেহ নেই দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে এসব ডালপালা।