অপরাধ / দূর্নীতি / শাস্তি
ছাত্রলীগ গভীর রাতে কোথাও মিছিল করছে, সংখ্যায় ছিল তারা ১০/১৫ জন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা তুফান তুলছে...এবং তাতেই অনেকে উত্তেজিত! যে কোন সময় এয়ারপোর্টে যাওয়ার ডাক আসতে পারে, এমন বক্তব্য দিয়ে পলাতক একদল রাষ্ট্রীয় চোরের মনোবল চাঙ্গা করার চেষ্টা চলছে।
এবং বাস্তবেও স্কুলটার নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ করার অবকাশ নেই। রেগুলার স্কুল-ডে'তে বাইরের কারও ভেতরে ঢুকার অনুমতি নেই। এমনকি পিতা-মাতারও না। প্রবেশের জন্যে কেবল একটা দরজা। আকারে বেশ বড়। ইন্টার-কমে যোগাযোগ করে ক্লিয়ারেন্স পেলেই কেবল অফিসে যাওয়া যায়। ওখান হতে ক্লাসরুমে যেতে চাইলে আরাও একধাপ নিরাপত্তা বলয় পেরোতে করতে হবে।
কিভাবে নেবেন খবরটা তা আপনার নিজের ব্যপার। তবে আমার জন্যে এমন একটা খবর ইউনিক ও বিস্ময়কর। দুর্নীতির বিশ্বে এমন খবর অদ্বিতীয় ও বিরল।
বাংলাদেশে এখন গ্যাস সংকট প্রকট। চুলায় রান্নার জন্যে গ্যাস থাকেনা ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানাগুলো নিয়মিত ধুকছে গ্যাস সংকটে।
চারদিকে হরেক রমকম সংকটের মাঝে এমন একটা খবর জাতিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারতো। আলো জ্বালাতে পারতো অনিশ্চয়তার অন্ধকারে। কিন্তু বিশেষ কারণে তা হতে পারেনি।
আপনি বলবেন একজন ধনী মানুষের জন্য আমার হিংসা হচ্ছে। আসলে ধনীর সংজ্ঞা কি তা একসাথে করতে কিছুটা হিমসিম খাচ্ছি। কত অর্থ-কড়ির মালিক হলে একজনকে ধনী বলা যাবে তা আমার অভিধানে না থাকায় হিংসা হওয়ার কোন কারণ দেখিনা।
একই সালের ৩রা এপ্রিল মধ্য ইউরোপে দেশ যুগোস্লাভিয়ায় গৃহযুদ্ধের দামামা বেজে উঠে। এক বছর আগে ১৯৯১ সালের ২৫শে ডিসেম্বর সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার একচ্ছত্র অধিপতি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়েছে কেবল। ইউনিয়ন হতে বেরিয়ে গিয়ে বাকি ১৪টি প্রজাতন্ত্র আলাদা দেশ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে। এই পতনের প্রভাব ফেলতে শুরু করে পূর্ব ইউরোপের সবকটা দেশে।
বলা হতো ক্ষমতার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। শেখ হাসিনার কিছু হলে সামনে আসার জন্যে সদা প্রস্তুত ছিলেন। ছায়ার মত সর্বত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন। সরকারী কোন পদে না থাকলেও ঘুরে বেড়ানোর সব খরচ বহন করেছে রাষ্ট্র। শেখ বংশের সব চাইতে লাভবান ও ভাগ্যবান ব্যক্তি শেখ রেহানা। অনেকে বলেন প্রথমে বাপের নাম, পরে বোনের নাম ভাঙ্গিয়ে ভোগ করে গেছেন নিজের জীবন।
দিপু মনি - নামটার ভেতর কেমন একটা আহ্লাদী ভাব আছে। মুখে আনলে মনে হবে আদর করে মায়ের কোলের কোন শিশুকে ডাকছি যেন। শরৎ কাব্যের এই মহীয়সীর রাজনীতিতে উত্থান কিভাবে তার বিস্তারিত আমার জানা নেই। অনলাইনে ঘাঁটলে হয়ত পাওয়া যাবে। তবে ওদিকে যাওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না। শেখ হাসিনার বাপের দেশে কে রাজনীতিতে আসবে আর কে যাবে তা একান্তই ঐ পারিবারের ব্যপার।
২০৪১ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছিলেন। স্বপ্ন-পুরীর রাজকন্যা সেজে জাতিকে স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছিলেন।... আমি ক্ষমতা চাই, ব্যাস, ক্ষমতায় গিয়ে উন্নয়ন করবো...এ দেশ আমার,...আমার বাবা এদেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন... এতদূরে বাস করেও আমি থমকে যেতাম। ভয় পেতাম এসব শুনে...নিজেই নিজকে প্রশ্ন করতাম, জীবদ্দশায় কি এই বন্য-পশু হতে জাতি মুক্তি পেয়েছে দেখে যেতে পারবো?
দেশে একটা রক্তাক্ত পরিবর্তন ঘটে গেছে। জাতির ঘাড়ে চেপে বসা বিশাল এক দানবকে বধ করেছে দেশের ছাত্র জনতা। এ পরিবর্তন ফুলের মত সুন্দর আর পাখির গানের মত মধুর হবে এমনটা আশা করার কোন কারণ ছিলনা। দানব বধ সব সময়ই রক্তাক্ত হয়। এ নিয়ে অভিযোগ করার কিছু নেই। কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে জুতাপেটা করছে...ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে গরুর সাথে বেধে রেখেছে...ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলের ছাত্রলীগ নেত্রীর চুলের মুঠো ধরে টানছে উন্মত্ত ছাত্রীর দল...। আপনি কি খুব কষ্ট পাচ্ছেন এসব দেখে? দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন আর আফসোস করে বলছেন, এমন পরিবর্তনই কি আমরা চেয়েছিলাম?
২ বছর পর শেখ হাসিনার বয়স হইবো ৭৮ বছর। তহন যে নির্বাচন হইবো তাতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ফিরা পাইবো তা রাস্তার নেড়ি কুত্তাও বিশ্বাস করেনা। আলমত দেইখ্যা মনে হইতাসে ক্ষমতা তাদের জাত শত্রু বিম্পির দুয়ারেই ধর্ণা দিবো। তার মানে আরও ৫ বছর। হাসিনার বয়স তখন ৮৩।