দেশে একটা রক্তাক্ত পরিবর্তন ঘটে গেছে। জাতির ঘাড়ে চেপে বসা বিশাল এক দানবকে বধ করেছে দেশের ছাত্র জনতা। এ পরিবর্তন ফুলের মত সুন্দর আর পাখির গানের মত মধুর হবে এমনটা আশা করার কোন কারণ ছিলনা। দানব বধ সব সময়ই রক্তাক্ত হয়। এ নিয়ে অভিযোগ করার কিছু নেই। কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে জুতাপেটা করছে...ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে গরুর সাথে বেধে রেখেছে...ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলের ছাত্রলীগ নেত্রীর চুলের মুঠো ধরে টানছে উন্মত্ত ছাত্রীর দল...। আপনি কি খুব কষ্ট পাচ্ছেন এসব দেখে? দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন আর আফসোস করে বলছেন, এমন পরিবর্তনই কি আমরা চেয়েছিলাম?
আপনি করতে পারেন, তবে আমি না। আমি উপভোগ করছি এসব দৃশ্য। উপভোগ করছি আর স্মৃতির মেঠো-পথ হাতড়ে ফিরে যাচ্ছি বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার দৃশ্যপটে। ফিরে যাচ্ছি ২০১২ সালে। পেশায় দর্জি বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষের সামনে কোপাচ্ছে। বাঁচার আকুতি জানিয়ে সে বার বার বলছে, আমি হিন্দু, আমি হিন্দু...। ওরা কাউকে ক্ষমা করেনি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা আবাসিক হলে টর্চার সেল বানিয়ে পশুর মত নির্যাতন করেছে সাধারণ ছাত্রদের। এসব পৈশাচিক উৎসবে উল্লাস করেছে ছাত্রলীগ নামের পশুলীগের ছাত্রীরাও। ওরাও বিভীষিকা তৈরি করে বিষিয়ে দিয়েছিল হাজার হাজার ছাত্রীর জীবন। সবই করেছে রাজনীতির নামে। বিএনপি-জামাত নির্মূলের নামে।
আপনি কি মনে করেন ছাত্রলীগের সাদ্দামকে যদি গণধোলাই না দিয়ে আইনের কাছে সোপর্দ করা হয় সে তার কৃতকর্মের জন্যে শাস্তি পাবে?
এমনটা আশা করে থাকলে আপনি নিজ জন্মভূমিকে চিনতে ভুল করেছেন। পুলিশ পতিতার আয় হতেও ভাগ বসায়। উচ্চ ও নিম্ন আদালতের বিচারকগণ দৌলতদিয়া ঘাটের পতিতাদের চাইতেও নিকৃষ্ট। ওদের পয়সা দিয়ে কেবল কেনাই যায়না, চাইলে আপনার জুতাও চাটাতে পারেন। সুতরাং গেল ১৫ বছরের পাহাড় সমান অন্যায়ের জন্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কেউ শাস্তি পাবে তা দিবা স্বপ্নের মত। ওদের কাড়ি কাড়ি অর্থ। তাই দিয়ে কিনে নিবে সবাইকে। তাই শাস্তি যা দেওয়ার তা গণধোলাইয়ের মাধ্যমেই দিতে হবে। এ শাস্তি কেবল ছাত্রলীগের জন্যে না, বরং ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এসে যারা একই কাজ করবে তাদের জন্যেও। শাস্তি যত নির্মম ও রক্তাক্ত হবে ততই গভীর হবে ম্যাসেজ।