দিপু মনি - নামটার ভেতর কেমন একটা আহ্লাদী ভাব আছে। মুখে আনলে মনে হবে আদর করে মায়ের কোলের কোন শিশুকে ডাকছি যেন। শরৎ কাব্যের এই মহীয়সীর রাজনীতিতে উত্থান কিভাবে তার বিস্তারিত আমার জানা নেই। অনলাইনে ঘাঁটলে হয়ত পাওয়া যাবে। তবে ওদিকে যাওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না। শেখ হাসিনার বাপের দেশে কে রাজনীতিতে আসবে আর কে যাবে তা একান্তই ঐ পারিবারের ব্যপার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ একটা মন্ত্রণালয় ছিল দিপু মনির হাতে। রাষ্ট্রীয় কাজে পাখির মত উড়ে বেড়াতেন। এক দেশ হতে অন্য দেশ, এক কন্টিনেন্ট হতে অন্য কন্টিনেন্ট। একদিনেই কভার করতেন বহু দেশ। তবে রাষ্ট্রীয় কোন মিশনে এসব দেশে যেতেন তার কোন ডকুমেন্ট কোন দিন প্রকাশ করেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
তবে যেখানেই যেতেন কমন একটা কাজ করতেন। যে দেশে যেতেন সে দেশের সরকার প্রধান অথবা রাষ্ট্র প্রধানের সাথে ছবি তুলতেন। নিজের জার্নালে তাদের অটোগ্রাফ নিতেন। এই দুটি কাজ শেষ হলে খুব একটা সময় ব্যায় করতেন না ঐ দেশে।
বলাহয়, পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত পররাষ্ট্র মন্ত্রীর উদয় হয়েছে তার মধ্যে দিপু মনি হচ্ছেন বিদেশ ভ্রমণ তালিকার চ্যাম্পিয়ন মন্ত্রী। এশিয়া হয়ে আফ্রিকা, লন্ডন হয়ে সিয়েরা লিওন, সিডনি হয়ে রিও ডে জেনেরো...কোন কিছু বাদ রাখেননি। একবার তিনি ওআইসি সম্মেলনে গেছেন মিশরের রাজধানী কায়রো। ওখানে বসে জরুরি বার্তা পেলেন স্বামী ব্যারিস্টার তৌফিক নেওয়াজ বাঁশি বাজাবেন। তাও আবার ভারতের দিল্লীর এক অনুষ্ঠানে। প্রিয়তমা স্ত্রী পাশে না থাকলে কি সূরের মূর্ছনা তোলা যাবে এমনটাই মনে করলেন সোয়ামী!
ম্যাসেজ পেয়েই ছুটলেন দিল্লীর দিকে। এমন একটা ভ্রমণকে সরকারী ভ্রমণে রূপ দেয়ার জন্যে দিল্লীস্থ হাইকমিশনারকে অনুরোধ করলেন ঐ দেশের রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার জন্যে।
স্বভাবতই ম্যারাথন চলার পথে দিপু মনির মূল বাধা ছিল পরিবহন। এক পর্যায়ে দাবি জানান বাংলাদেশ বিমানের একটা বিমান স্থায়ী বরাদ্দের জন্যে। দাবি মন্ত্রী পরিষদের গৃহীত না হওয়ায় বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন।
প্রথম টার্মের মন্ত্রিত্বের পর কিছুটা সময় বোধহয় কেবিনেটের বাইরে ছিলেন। এ নিয়ে দুষ্টুদের দুষ্টুমিরও অন্ত নাই। বলা হয় কোন এক মিটিংয়ে বস শেখ হাসিনার পাশে বসে পুট করে পায়ু পথ হতে অনেকটা শব্দ করেই বাতাস ছেড়ে দিয়েছিলেন। বস ব্যপারটা সহজভাবে নিতে পারেননি। তারই সভাসদ তারই পাশে বসে স্বাধীনভাবে অপকর্ম করবে এমনটা ভেবে বেজায় গোস্বা করেছিলেন। শাস্তিও দিয়েছিলেন কেবিনেটের বাইরে রেখে।
যাই হোক বিশ্ব ভ্রমণে চ্যাম্পিয়ন প্রাক্তন এই মন্ত্রীকে নাকি ইউনুস মাস্টারের সরকার গ্রেফতার করেছে। কেন করেছে সে নর্দমা ঘাটতে গেলে পায়ুপথ হতে কেবল শব্দ না, তরল জাতীয় কিছু বেরিয়ে আসবে।
তবে বাজারে চালু আছে পলাতকা হাসিনা স্বৈরাচারের সাথে প্রফেসর ইউনুসের সম্পর্কের অবনতির মুলে নাকি ছিলেন দিপু মনির স্বামী।
সবই শোনা কথা। সাক্ষী প্রমাণ নাই। তাই এসব রাজাকারি কথা বিশ্বাস করবেন না। তবে বাংলায় একটা কথা আছে, যাহা রটে তাহা কিছু ঘটে বৈকি!
ওয়েলাকাম টু ইউর নিউ হোম আদর আহ্লাদের দিপু মনি।