দেখতে দেখতে ১০টা দিন পার হয়ে গেল। এবং তিনি এখন দিল্লীর স্থায়ী মেহমান হয়ে মুক্তি দিয়েছেন আমাদের।
হঠাৎ হঠাৎ চমকে উঠি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, আসলেই কি বাংলাদেশের মাটি আজ আজরাইল মুক্ত?
২০৪১ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছিলেন। স্বপ্ন-পুরীর রাজকন্যা সেজে জাতিকে স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছিলেন।... আমি ক্ষমতা চাই, ব্যাস, ক্ষমতায় গিয়ে উন্নয়ন করবো...এ দেশ আমার,...আমার বাবা এদেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন... এতদূরে বাস করেও আমি থমকে যেতাম। ভয় পেতাম এসব শুনে...নিজেই নিজকে প্রশ্ন করতাম, জীবদ্দশায় কি এই বন্য-পশু হতে জাতি মুক্তি পেয়েছে দেখে যেতে পারবো?
গেল নির্বাচনে আশায় বুক বেধেছিলাম...হয়ত এ যাত্রায় পার পাবেনা। মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞায় নিশ্চয় পতন হবে এই হিংস্র গডজিলার। কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে তর্জনী উঠিয়ে শাসাচ্ছিলেন, আমি ১৮ কোটি মানুষকে ভাত খাওয়াই!
...এ যেন হাজার রজনীর আলীবাবা ৪০ চোরের গল্প। শেষ হয়েও শেষ হয়না!
তারপর ওরা এলো। ভয় ডরহীন একদল তরুণ। মুক্তি পাগল একদল অকুতোভয় সৈনিক। সৈনিকের মতই যুদ্ধ করলো মাঠে। রক্ত দিলো। এবং বধ করলো হাট-মাট ঘাটে ত্রাস সৃষ্টিকারী এই দানবকে।
১০ দিন আগেও কি কল্পনা করার সাহস করতাম...লাখ কোটি টাকার মালিক দরবেশ বাবা খোঁয়াড়ের ভেতর হতে আদালতের দৃশ্য দেখবেন। এই সেই আদালত যার বিচারকদের জন্যে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে রায় লিখতেন আনিসুল হক!
কেমন আছেন ওনারা? খুব কি ভেঙ্গে পরেছেন? হতবিহবল হয়ে পরেছেন হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া বাস্তবতায়? হতেই পারেন। হয়ত দোষ দিচ্ছেন স্বর্গ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া দৈত্যকে।
ভেঙ্গে পরবেন না মহাশয়দ্বয়, বুকে জয়বাংলার চেতনা লালন করে অপেক্ষায় থাকুন। কে জানে, সুদিন ফিরে আসতেও পারে।
কষ্টকরে হলেও ২০টা বছর বেঁচে থাকুন অন্তত।