টাকার খেলা!
প্যাঁচানো তেনার গিট্টু আলগা করলে এটাই প্রতীয়মান হবে পরীমনি একজন হাই প্রোফাইল দেহপসারিনী। রাতারাতি বড়লোক হওয়ার অস্বাস্থ্যকর দৌড়ের একজন সফল দৌড়বিদ।
শরীরকে পুঁজি বানিয়ে বড়লোক হওয়ার ব্যবসা নতুন কোন ব্যবসা নয়। এ ব্যবসার ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে। এর বয়স হাজার বছরের উপর।
সরকার ও তার পেটোয়া বাহিনী পরীমনির ঘটনাকে যেভাবে উপস্থাপন করছে তাতে মনে হয় তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিশাল এক ষড়যন্ত্রের মূল উৎপাটন করতে সক্ষম হয়েছে।
অনেকে বলছেন এ অভিযান সরকারের চীন-ভারত সম্পর্ক ঝালাই করার
ইনগ্রেডিয়েনন্ট। তাদের ভাষ্য, পরীমনিদের মত হাই প্রোফাইল দেহপসারীনিরা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' 'এর অংশ। তাদের দিয়ে
দেশীয় রুই-কাতলাদের ভারতীয় শিবিরে টানতে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছে গোপনে ধারণকৃত শারীরিক মিলনের ভিডিও।
বাংলাদেশকে পরী মুক্ত করার মিশনের মূল উদ্যোক্তা নাকি দেশের নতুন সেনাপ্রধান।
এসব কন্সপিরেসি থিওরির স্বপক্ষে কেউ কোন প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। সবটাই গসিপ ও দেহব্যবসার মত প্রচার ব্যবসার অংশ।
প্রশ্ন হচ্ছে:
এক, বাংলাদেশে দেশব্যবসা কি আসলেই বেআইনি?
দুই, পরীমনির দেহ ব্যবসা যদি অবৈধ হয় তাহলে তার খদ্দেরদের দেহভোগও কি অবৈধ হবেনা?
তিন, পরীমনির দেশীয় খদ্দেরদের নাম আসছেনা কেন? আমরা কি ধরে নেব এসব খদ্দেরদের নাম মুখে আনা শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারিদের নাম মুখে আনার মতই হারাম?
দরজা বন্ধ শয়নকক্ষে পরীমনিরা কার সাথে যৌনমিলনে লিপ্ত হয় তা none of our business. দু'জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ মিলিত হচ্ছে তাদের যৌথ সম্মতিতে, এখানে কেউ কাউকে ধর্ষণ করছেনা।
হ্যাঁ এখানে ব্ল্যাক-মেইলিং একটা সিরিয়াস অভিযোগ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে প্রশ্ন উঠবে, এসব অভিযোগের বাদীরা সামনে আসছেনা কেন? তারা কি লজ্জা পাচ্ছেন?
অনেক অভিযোগের মত সরকারের পেটোয়া বাহিনীর এসব অভিযোগও আমলে নেয়ার কোন কারণ নেই। দিন শেষে তারা হয়ত অপরাধের দৌড় খালেদা জিয়ার দরজায় গিয়ে শেষ করবে।
পরীমনির নিজের দেহব্যবসা দুবাই পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। এখানে অপরাধটা কোথায়? কেউ কি অভিযোগ এনেছেন অঢেল অর্থ নেয়ার পরও পরীমনি শরীর উন্মুক্ত করেননি?
প্রচারেই প্রসার! পরীমনি ইস্যু সংবাদ মাধ্যমের তৈরি অতি জনপ্রিয় একটা পণ্য যা পাবলিক গোগ্রাসে গিলছে।
সব বিবেচনায় আমার মনে হচ্ছে বোট ক্লাবে গিয়ে পরীমনি যে হাংগামা করেছিলেন তার প্রতিশোধ নিচ্ছে প্রতিপক্ষ। এখানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা অথবা চীন-ভারত সম্পর্ক টেনে আনা হচ্ছে রাজনীতির বাম ঘরনাদের মত আদার বেপারী হয়ে জাহাজের খবর টেনে আনা।
বাংলাদেশের অতি বিখ্যাত জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মত এখানেও দুই পক্ষ সামনে নেমেছে। পার্থক্য হচ্ছে, টোটার বদলে ওদের সবার হাতে আছে টাকা। কাড়ি কাড়ি টাকা!