সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামায় জড়িতদের পরিচয় উৎঘাটন করতে ইদানিং আমাদের দুই মিনিট সময় লাগেনা। ক্লিয়ার এন্ড লাউডলি বলে দেই অমুক জায়গায় আগুন লাগানো ব্যক্তিটি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। তমুক জায়গায় মূর্তি ভাঙ্গার নায়ক আওয়ামী রাজনীতির প্রথম সারির সৈনিক। ঈমানী যোশে মানুষের কাফেলা যখন হিন্দুদের বাড়িঘর সম্পদ ভাঙ্গার উৎসবে যোগ দেয় ওরা আসলেই কি আওয়ামী ব্যানারে এসব অপকর্ম করে থাকে? তাদের একমাত্র পরিচয় কি আওয়ামী লীগার?
দুস্কৃতিকারীদের পরিচয় দলীয় পরিচয়ের রঙ দিয়ে আমরা কি আত্মপ্রতারণা করছিনা?
ওরা যখন নারায়ে তকবীর আল্লাহু আকবর হুংকারে ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠে রাজনৈতিক পরিচয় তখন মূখ্য থাকেনা, বরং ধর্মীয় পরিচয়ই তাদের মাঠে নামায়। মিছিলের কাতারে আওয়ামী, বিনপি, জামাতি, হেফাজতিরা যোগ দেয় দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্যে নয়, বরং নিজেদের ঈমানী দায়িত্ব পালনের তাগাদা হতে। ধর্মীয় চেতনাই তাদের জিহাদের ডাক দেয়।
যদি মাইক্রোস্কোপের তলায় নিয়ে প্রতিটা মিছিলকারীর অটোপসি করি অবাক হবনা যদি রিপোর্ট আসে ওদের ৯০ ভাগই লুটেরা, ধর্ষক, গুম ও খুনের হোতা।
ধর্ম নিয়ে এসব ভণ্ডামি আমাদের হয়ত যুগ যুগ ধরে সয্য করে যেতে হবে। হোক তা মুসলিম, হিন্দু, খ্রীষ্টান অথবা ইহুদি ধর্মে!