উনি প্রধানমন্ত্রী এবং এতিমদের শোকে শোকাভিভূত মহিয়সী এক নারী। সিদ্বান্ত নিলেন কিছু করার এবং ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল‘ নামে সোনালী ব্যাংকের রমণা শাখায় ব্যাংক হিসাব খুলে আপোষ করেন এতিমদের সাথে। বিদেশীদের মন গলিয়ে আদায় করে নেন ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা এবং জমা করেন উল্লেখিত ব্যাংক হিসাবে। দীর্ঘ দুই বছর টাকা জমা থাকে ব্যাংকে (কারণ দেশে কোন এতিম খুজে পাওয়া যায়নি)। দুই বছর পর টনক নড়ে মহিয়সীর। পরিবারের ৩ সদস্য, তারেক, আরাফাত এবং মমিনুরকে দিয়ে জিয়া অরফেনেজ ট্রাষ্ট গঠন করে খুলে দেন কোটি টাকার তালা (শেয়ালের কাছে মুরগী বর্গা)। কাহিনীর এখানে কেবল শুরু। পরিবারের এই ’ত্রইকা’ বগুড়া এবং বাগেরহাটে ট্রাষ্ট্রের নামে সামান্য কিছু জমি কিনে বাকি টাকা রেখে দেয় ব্যাংকে। এরপর অতিবাহিত হয়ে যায় দীর্ঘ ১৩ বছর। সুদে আসলে উঠে আসে জমি কেনার টাকা। কালের চাকা ঘুরে ক্যালেন্ডারের পাতায় হাজির হয় ২০০৬ সাল। তারেক রহমান এবং মমিনুর রহমানকে দিয়ে আপোষহীনা চেকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা উঠিয়ে এফডিআর করিয়ে রাখেন গুলশানস্থ প্রাইম ব্যাংকে। এরপর সলিমুল, গিয়াস উদ্দিন, শরফুদ্দিন এবং সৈয়দ আহম্মদ নামের দলীয় ভৃত্যদের ব্যাংক একাউন্ট হয়ে টাকা পাড়ি জমায় আরাফাত আর ককো রহমানের একাউন্টে। কারণ? কারণ এ’রা দুজনই যে এতিম (আরও একবার চোখের পানি ফেলুন)!
পাঠক, এ কাহিনী ইটালিয়ান মাফিয়াদের নিয়ে নির্মিত হলিউডের কোন ছায়াছবি হতে নেয়া নয়, এ আমাদের রাজনীতির অন্দরমহলের কালো কাহিনীর কালো অধ্যায় হতে নেয়া। রাজনীনৈতিক ব্যবসা পকেট ভান্ডার কতটা স্ফীত করতে পারে উল্লখিত ঘটনা তার আলোকিত উদাহরন। দলীয় মনোনয়ন পেতে ভৃত্যের দল কেন নেত্রীর পদ্তলে কোটি টাকা পূজা দিয়ে থাকে আশাকরি পাঠকদের বুঝতে এখন সূবিধা হবে!
ও হ্যা, উপরে উল্লেখিত আপোষহীনা মহিয়সী আর কেউ নন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অতন্ত্রপ্রহরী, তিন তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, দুই এতিমের জননী জনাবা খালেদা জিয়া।
* আইনের চোখে অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্য্যন্ত কেউ অপরাধী নন।
- আমিন