আমেরিকার জন্যে আজকের দিনটা ছিল ইতিহাস লেখার দিন। ইতিহাস নিয়ে যারা ঘাটাঘাটি করেন তাদের জন্যে দিনভর খোরাকের অভাব ছিলনা। ঘটনার শুরু গতকাল হতে। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেট রান-অফ ছিল সিনেটের ভাগ্য নির্ধারনী ভোট। গেল ৩রা নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ১০০ আসন বিশিষ্টা আমেরিকান কংগ্রেসের সিনেট চেম্বার ছিল রিপাব্লিকানদের দখলে। অন্য চেম্বার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে ছিল ডেমোক্রেটদের মেজোরেটি। সিনেট নির্বাচনে রিপাব্লিকানদের ঘরে যায় ৫০টি এবং ডেমোক্রেটদের ৪৮টি আসন। জর্জিয়ার ২টি আসল যায় রান-অফে। কারণ অঙ্গরাজ্যের নিয়ম অনুয়াযী সাধারণ নির্বাচনে কোন প্রার্থী ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় পুণঃনির্বাচন পর্যন্ত গড়ায়।
ঐতিহাসিকভাবে জর্জিয়া হচ্ছে আমেরিকার রক্ষণশীল দক্ষিণের একটি অঙ্গরাজ্য। এখানে বছরের পর বছর ধরে রাজত্ব করছে রিপাব্লিকান দল। আমেরিকান নির্বাচনে সুইং ষ্টেইট বলে যে কয়টা অঙ্গরাজ্য আছে সে তালিকায় জর্জিয়ার নাম ছিলনা। কিন্তু চেহারা বদলাতে শুরু করে ২০১৮ সালের মিড-টার্ম নির্বাচনে। অঙ্গরাজ্যের গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী ষ্টেইসি আব্রাহাম নতুন শক্তি হিসাবে আবির্ভুত হন। আফ্রিকান আমেরিকান এই প্রার্থী ৫০ হাজার ভোটে পরাজিত হন। কিন্তু জর্জিয়ার কনটেক্সটে এই মার্জিন ছিল অনেকের কাছে বিরাট এক চমক। ষ্টেইসি পরাজিত হলেও থেমে যাননি। ভোটার তালিকায় অনেক কালো আমেরিকান যারা বছরের পর বছর ধরে ভোট দিতে অনীহা প্রকাশ করে আসছিলেন, তাদের তালিকাভুক্ত করিয়ে ডেমোক্রেটদের হাত শক্তিশালী করা শুরু করেন। ফলাফল, ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়।
গতকালের সিনেট রান-অফে ডেমোক্রেট দলীয় দুই প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন রিপাব্লিকান দলীয় দুই প্রার্থী । এক বছর আগেও এমন ফলাফল ছিল অপ্রতাশিত এবং অনেকটা আকাশ কুসুম কল্পনার মত। ্ডেমোক্রেটদের নতুন এই ২ আসন সিনেটে তাদের মেজোরিটি নিশ্চিত করেছে। যদিও সংখ্যার বিচারে আসন এখন ৫০ এবং ৫০। সমান সংখ্যক আসনের কারণে ডিসাইসিভ ভোট দেওয়ার ক্ষমতা রাখবেন নির্বাচিত নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হারিস।
- ২য় পর্ব আসছে।