দেশপ্রেমের স্বরলিপি...

Submitted by WatchDog on Sunday, May 28, 2023

নিউ ইয়র্কেই শুরু হয়েছিল শেষটার। জ্যাক্সন হাইটসের বাঙ্গালী দোকান হতে কেনা ইলিশ মাছের পেট হতে যেদিন পাথর প্রসব করল সেদিনই নিজকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম দেশপ্রেম বলতে আসলে কিছু নেই। সবাই আমরা ধান্ধাবাজ। একেক জন একেক পথে ধান্ধা করছি। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ধান্ধাকে কাজে লাগাচ্ছি। দেশপ্রেম হচ্ছে ধান্ধাবাজি বাণিজ্যের অন্যতম মালমসলা।

Breaking Bad...

Submitted by WatchDog on Saturday, May 27, 2023
পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক শহর নিয়ে লিখেছি। পাঠকদের সাথে শেয়ার করেছি নগর জীবনের অভিজ্ঞতা। সে তালিকায় যেমন আছে তারুণ্যের দীর্ঘ ১২ বছর কাটানো রুশ দেশের সেন্ট পিটার্সবার্গ, তেমনি আছে পাঁচ বছরের সিডনীর জীবন যুদ্ধ। নিউ ইয়র্কের ছয় বছরই ছিল ভার্চুয়াল দুনিয়ায় স্থায়ী হওয়ার লগ্ন। এ লগ্নেই পাঠকদের পরিচিত করেছি অধুনা বিশ্বের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসাবে পরিচিত এ শহরের সাথে। কথার ফাঁকে ফাঁকে নিয়ে গেছি এন্ডিসের দেশ পেরু, বলিভিয়া, কলোম্বিয়া ও ইকুয়েডোরে। কিন্তু গেল ১২ বছর ধরে যে শহরটায় আছি তার দিকে ভাল করে চোখে ফেরানো হয়নি।

জিম জোনস...আত্মহত্যার স্বরলিপি!

Submitted by WatchDog on Saturday, May 27, 2023
বর্ণবাদ ও অর্থনৈতিক অসমতার শিকার অনেক আমেরিকান পাড়ি জমায় জোনসের কথিত সমাজতান্ত্রিক সমতার লীলাভূমিতে। জোনসটাউন তার পরিপূর্ণতা পাওয়ার ঊষালগ্ন হতে অনেক মার্কিন নাগরিক অভিযোগ করতে শুরু করে জিম জোনস কাল্টের অনেকে তাদের শিশুদের চুরি করে জোনসটাউনে নিয়ে যাচ্ছে। এবং তার সাম্যবাদের দীক্ষায় দীক্ষিত করছে। টনক নড়ে মার্কিন প্রশাসনে। 

আমেরিকার বুনো পশ্চিমের গল্প।

Submitted by WatchDog on Saturday, May 27, 2023
শুক্রবারে রওয়ানা দিয়ে রোববার ফিরে আসা, সর্বসাকুল্যে ১১০০ কিলোমিটার ড্রাইভ। এ ধরণের ড্রাইভ একসময় ডাল-ভাতের মত সহজ মনে হলেও এখন শরীরের উপর দিয়ে যায়। ক্লান্তি এসে চেপে ধরে।

জীবন যেখানে যেমন...

Submitted by WatchDog on Saturday, May 27, 2023
প্রতিবেশী মেক্সিকানদের নিয়ে এ দেশে অনেকের অনেক রকম এলার্জি আছে, বিশেষকরে ট্রাম্প ও তার মুরিদানদের। অবশ্য এসব এলার্জির প্রায় সবটাই রাজনৈতিক। বাস্তবতা হচ্ছে এ দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে মেক্সিকানদের কোন বিকল্প নেই। হোক তা বৈধ অথবা অবৈধ অভিবাসী মেক্সিকান।

ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী...

Submitted by WatchDog on Saturday, May 27, 2023
২০২০ সালের প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচন-কালীন সময় আমি অনেক লেখায় উল্লেখ করেছিলাম সময় আসবে যখন তখনকার রানিং প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড জন ট্রাম্পকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে জেলের ভাত খেতে হবে। এ নিয়ে অনেকে ঠাট্টা মশকরা করেছিলেন। আমেরিকান বিচার ব্যবস্থাকে বাংলাদেশী লেভেলে নামিয়ে এনে টিটকারি করেছিলেন। ম্যাসেজ ফর দেম!

ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট...আরাভ খান হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প!

Submitted by WatchDog on Saturday, May 27, 2023
বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে প্রাক্তন একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জেলে যাওয়া কোন ঘটনা না। এসব দেশকে খবরের তুঙ্গে রাখতে স্থানীয় সংবাদই যথেষ্ট। এই যেমন আরাভ খান ও তার দুবাইস্থ জুয়েলারি দোকানে ৪৫ কোটি টাকার স্বর্ণের বাজপাখি। একজন খুনি দেশটার আইন ও ব্যবস্থাকে ম্যানেজ করে নিজের জেলটার্ম তৃতীয় একজনকে দিয়ে খাটায় এবং নিরাপদে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গিয়ে নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়। পরিবর্তীতে দুবাইকে গিয়ে ফেঁদে বসে এমন এক ব্যবসা যা কোন সাধারণ বাংলাদেশির জন্যে আকাশ কুসুম কল্পনা কেবল। স্বৈরতান্ত্রিক লুটেরা দেশের এসব ঘটনায় আমরা কেন নতুন করে অবাক হই তা বুঝার মগজ আমার নেই।

সাকিব আল হাসান...খলনায়ক না দেবতা!

Submitted by WatchDog on Saturday, May 27, 2023
ক্রিকেট তারকা সাকিব হাল হাসানকে কি আমরা কি অমরত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছি, যেমনটা নিয়ে গেছি রাজনীতিবিদ শেখ মুজিবকে? হুম! কাকে কে কোথায় নিয়ে যাবে পছন্দ নিজেদের। সবই ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ফ্রীডম অব স্পীচের অংশ।

অফিস আদালত দেশ বিদেশে...

Submitted by WatchDog on Saturday, May 27, 2023

জেফ্রি রড্রিগেস ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার। আমার ইমিডিয়েট বস। তাও লম্বা সময় ধরে। ডোনাল্ড ছিল ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর, অর্থাৎ বসের বস। ডোনাল্ড ও জেফ্রির আলাদা রুম থাকলেও আমার জন্যে নির্দিষ্ট ছিল সুসজ্জিত একটা কিউবিক। দুজনের রুম ও আমার কিউবিক পাশাপাশি হওয়ার কারণে অকারণে প্রায়ই আমাদের দেখা হয়ে যেত। মাঝে মধ্যে তাদের রুমে ঢুকে হরেক রকম বিষয় নিয়ে আলাপ করি। ওরাও আমার কিউবিকে আসে। দ্বিতীয় কো্ন চেয়ার না থাকায় আমার লো হাইটের ফাইল কেবিনেটে বসে অফিসিয়াল আন-অফিসিয়াল গল্প করে।

"আমি বিদ্যুৎ দিয়েছি, টিভি দিয়েছি..."

Submitted by WatchDog on Saturday, May 27, 2023

গণতন্ত্র হচ্ছে একটি ধারাবাহিক চর্চা। এ চর্চা লম্বা সময় ধরে ব্যহত হলে একটা প্রজন্মের কাছে এর আসল মূল্যবোধ ফিকে হয়ে আসে। এবং এক সময় ভুলে যায় গণতন্ত্র কি এবং কেন। গর্বাচেভের আগে সোভিয়েত দেশে গণতন্ত্র চর্চার রেওয়াজ ছিলনা। ওখানে একে একে শাসন করে গেছে স্তালিন, ব্রেজনেভদের মত একনায়ক ও তাদের অধীনে পরিচালিত ফ্যাসিবাদ।