১৯৮৬ সাল। গ্রীষ্মের ছুটিতে সে বছর আমি ইংল্যান্ডে। সাউদ ডেভনশায়ারের ছোট শহর পেইনংটনের একটা রেস্টুরেন্টে সামার যব করছি। সে বছর আটলান্তিকের ওপারের দেশ মেক্সিকোতে চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল মেলা। ফুটবল পাগল বৃটিশরা উত্তেজনায় কাঁপছে তাদের দল নিয়ে।

অনেকেই অবাক হচ্ছেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত সন্দেহ করছেন আমেরিকান নির্বাচনের আউট-কাম নিয়ে। এই যেমন, নির্বাচনের রাতে পেন্সেলভানিয়ার ফলাফল ছিল ট্রাম্পের পক্ষে। তিনি প্রতিদ্ধন্দি জো বাইডেনের চাইতে ৬ লাখ ভোট বেশী পেয়ে এগিয়ে ছিলেন। আজ এ মুহূর্তে এ লিড মাত্র ২২ হাজারে নেমে এসেছে।

ডাঃ সাব্রিনাকে সৃষ্টিকর্তা রূপ ও মেধা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। রূপের সবটাই হয়ত সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি। যার কিছু নমুনা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় জোয়ারের মত ভেসে বেড়াচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি আর দশটা পুরুষের মতই সৌন্দর্যের পূজারি। রূপের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে কেউ যদি ট্র্যাডিশনাল পোশাকের বাইরে গিয়ে...

সে বছরটা কোন ঘটনা ছাড়াই বয়ে যাচ্ছিল নিউ ইয়র্কের জীবন। সকালে কাজে যাই, বিকেলে ফিরে আসি। নিয়মিত রান্না করি। ছুটির দিনে জ্যাক্সন হাইটসের দোকানগুলোতে বাজার করতে যাই। মাঝেমধ্যে বন্ধু লুৎফরের সাথে আড্ডা জমাই। উডসাইডের বাসাটার অনেক কমফোর্ট ছিল।

পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক শহর নিয়ে লিখেছি। পাঠকদের সাথে শেয়ার করেছি নগর জীবনের অভিজ্ঞতা। সে তালিকায় যেমন আছে তারুণ্যের দীর্ঘ ১২ বছর কাটানো রুশ দেশের সেন্ট পিটার্সবার্গ, তেমনি আছে পাঁচ বছরের সিডনীর জীবন যুদ্ধ। নিউ ইয়র্কের ছয় বছরই ছিল ভার্চুয়াল দুনিয়ায় স্থায়ী হওয়ার লগ্ন।

জন্মভূমির ভাল কিছু নিয়ে লেখার ইচ্ছাটা অনেকদিনের। তাই পত্রিকার পাতা ঘাঁটি প্রতিদিন। প্রথম পাতা সাধারণত চটকদার খবরের পাতা। ওখানে খারাপ খবরই প্রধান্য পায়। তাই হতাশ হয়ে ভেতরের পাতা উল্টাই। সন্ধান করি গ্রাম-গঞ্জের ভাল কোন খবর। না, কোথাও ভাল কিছু নেই। হত্যা, খুন, গুম, ধর্ষণ আর লুটপাটের কাহিনীতে সয়লাব।

একজন থানার ওসি বছরের পর বছর ধরে ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করে গেছে, দেশের মেইনস্ট্রীম মিডিয়া টু শব্দটি করেনি। বরং প্রদীপ কুমার দাসদের দাস বনে ক্রসফায়ারের বানোয়াট কাহিনী হাইলাইট করে গেছে। দেশের আকিজ বিড়ি মার্কা বুদ্বিজীবিরা এসব হত্যাকান্ডকে থ্রীলার উপন্যাস হিসাবে উপভোগ করে গেছে সরকারের উচ্ছিষ্ট খেয়ে।

৪/৫টা শূন্য আসনে সাংসদ হওয়ার খায়েশ প্রকাশ করেছেন ১৫০ জনের উপর। সর্বস্তরের মানুষ নাম লেখাচ্ছে এ তালিকায়। যিনি মারা গাছেন তেনার বিবির পাশাপাশি সন্তানদের কেউ, ভাই, ভাতিজা, চাচারাও লাইন দিচ্ছে। আশা একটাই, যদি লাইগ্যা যায়! আর ভাগ্যক্রমে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের দেখা যদি মিলেই যায় ধারণা করা যায় তাদের পৃথিবীর রঙ কেমন হবে!

পথিক, খুব একটা ব্যস্ত না থাকলে আমার সাথে ব্যায় করার জন্যে কিছুটা সময় চাইবো। কিছুক্ষণের জন্যে আপনাকে অন্য এক বাস্তবতায় নিয়ে যাব। নিয়ে যাব এমন এক জায়গায় যেখানে আপনি কোনদিন পা রাখেননি। অথবা পা রাখবেন ভাবতেও পারেননি। লম্বা একটা শ্বাস ফেলে কিছুক্ষণের জন্যে বাকি সব ভাবনা হতে নিজকে মুক্ত করুন।

এক পশলা বৃষ্টি, সাথে ঘণ্টায় ৭০ মাইলের ঝড়ো বাতাস রাতারাতি পালটে দিল প্রকৃতির মতিগতি। বুধবার দুপুর পর্যন্ত মাথার উপর সূর্যের দাপট ছিল অসহনীয়। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে খা খা করছিল আমেরিকার হিংস্র পশ্চিমের এ অঞ্চল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সাথে সাথে বদলে গেল সবকিছু।