এন্ডিস পর্বত মালার বাঁকে বাঁকে - ১৪তম পর্ব
সকাল সকাল ঘুম ভেংগে গেল ওয়েক-আপ কল ছাড়াই। হাত ঘড়িটা বলছে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা। খুব একটা বেশী সময় ঘুমিয়েছি বলে মনে হলনা। গতকালের ঘটনাগুলো এ মুহুর্তে দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই ভাবতে ইচ্ছে করলনা।
সকাল সকাল ঘুম ভেংগে গেল ওয়েক-আপ কল ছাড়াই। হাত ঘড়িটা বলছে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা। খুব একটা বেশী সময় ঘুমিয়েছি বলে মনে হলনা। গতকালের ঘটনাগুলো এ মুহুর্তে দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই ভাবতে ইচ্ছে করলনা।
আবারও অনিশ্চয়তা! কুফা যেন পিছু ছাড়ছেনা কিছুতেই। একদিনে এত ঝামেলা সয্য করার জন্যে চাই বায়োনিক শরীর! মাছে ভাতে বাংগালীর শরীর এমন বিরামহীন হাংগামার জন্যে মোটেও তৈরী নয়, এ সহজ সত্যটা আগেই বোধহয় বুঝা উচিৎ ছিল।
বেলা পরে আসছে, রওয়ানা হওয়ার উৎকণ্ঠা সবার চোখে মুখে। সূর্য্যাস্তের পর এন্ডিসের এ এলাকাটা মোটেও নাকি নিরাপদ নয়। বন্য হায়েনা আর অপহরনকারীদের অভয়ারন্যে পরিনত হয় অরক্ষিত মাঠ ঘাট । বলিভিয়া পৃথিবীর অন্যতম গরীব দেশ।
দূর হতে দু’মাইলের পথ মনে হলেও দূরত্ব বোধহয় এক মাইলের বেশী ছিলনা। ক্লান্ত, শ্রান্ত এবং বিধ্বস্ত শরীর নিয়ে বাসটার কাছাকাছি আসতেই স্বাগত জানাল পটকা মাছের মত ফুলে উঠা কতগুলো মুখ। ডায়নামাইটের মত বিষ্ফোরিত হল ট্যুর গাইড, সাথে গলা মেলাল ড্রাইভার এবং তার হেল্পার।
মাইল খানেক হাটার পর জট্লাটা চোখে পরল। ড্রাইভার এবং ট্যুর গাইডদের সাথে পাহাড়ি এলাকার মাম্বো জাম্বো টাইপের ক’জন কি নিয়ে যেন দরকষাকষি করছে। দু’পক্ষকেই বেশ উত্তেজিত মনে হল। বন্দী দশা সইতে না পেরে অনেক যাত্রীও নেমে এসেছে খোলা বাতাসে।
উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে বাসটা নড়তে শুরু করল শেষ পর্য্যন্ত। স্বস্তির পাশাপাশি এক ধরনের নীরবতা গ্রাস করে নিল বাসের পরিবেশ। কারও মুখে কোন কথা নেই, সবাই ক্লান্ত এবং সামনে কি অপেক্ষা করছে এ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত।
রাথমিক ধাক্কা সামলে ঠিকঠাক হয়ে বসতেই ড্রাইভার জানাল দুঃসংবাদটা, আমরা কোপাকাবানা হয়ে লা পাস যাচ্ছিনা। ও পথটা ধর্মঘটকারীদের দখলে চলে গেছে। রক্তারক্তির খবরও নাকি বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। অজানা আশংকায় মনটা অস্থির হয়ে উঠল, এমন একটা ঘোলাটে পরিবেশে ঠিক হচ্ছে ত বলিভিয়া যাওয়াটা!
অনিশ্চয়তার বেড়াজালে আটকে গেল ঘুমের পৃথিবী। এপাশ ওপাশ করেই কাটিয়ে দিলাম বাকি রাতটা। শেষ রাতের দিকে তন্দ্রামত আসতেই ঘড় ঘড় শব্দে বেজে উঠল এলার্ম ঘড়িটা। মিনিট খানেকের ভেতর রিসিপশন ডেস্ক হতে কেউ একজন ওয়েক-আপ কল দিয়ে জানিয়ে দিল এবার উঠতে হবে।
কথা ছিল খুব সকালে বেড়িয়ে পরব। কিন্তূ বেরুতে বেরুতে দুপুর হয়ে গেল। এতদিন জানতাম বাংলাদেশী ললনারাই সাজ গোছের কারণে সব জায়গায় লেট, কিন্তূ আমার এই বিদেশী গৃহিনীও যে একই রোগে আক্রান্ত তা জানতে পেরে কিছুটা...
৫৪ লাখ বছর আগে আরিজোনা অংগরাজ্যের কলোরাডো নদীকে ঘিরে গ্রান্ড ক্যানিয়নের সৃষ্টি। ক্যানিয়নের দৈর্ঘ্য ৪৪৬ কিলোমিটার এবং ক্ষেত্র বিশেষে এর প্রসস্ততা ৭ হতে ২৯ কিলোমিটার পর্য্যন্ত। উচ্চতা প্রায় ২ কিলোমিটার।