আমেরিকা, ওহ আমেরিকা! পর্ব-২
আমেরিকান শাসনব্যবস্থা দেশটার এক্সিকিউটিভ, লেজিশ্ল্যাটিভ ও জুডিশিয়াল ব্রাঞ্চের সমন্বিত কার্যক্রমের সুসম ফসল। এখানে এক ব্রাঞ্চকে পাশ কাটিয়ে অন্য ব্রাঞ্চ এমন কিছু করতে পারেনা যা শাসনব্যবস্থায় মৌলিক কোন পরিবর্তন আনতে পারে।
আমেরিকান শাসনব্যবস্থা দেশটার এক্সিকিউটিভ, লেজিশ্ল্যাটিভ ও জুডিশিয়াল ব্রাঞ্চের সমন্বিত কার্যক্রমের সুসম ফসল। এখানে এক ব্রাঞ্চকে পাশ কাটিয়ে অন্য ব্রাঞ্চ এমন কিছু করতে পারেনা যা শাসনব্যবস্থায় মৌলিক কোন পরিবর্তন আনতে পারে।
২০০৮ সালে আমেরিকান প্রেসিডেন্টসিয়াল নির্বাচনে ঘটে যায় অভূতপূর্ব ঘটনা। কালো আমেরিকানদের একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে চমকে দেন গোটা পৃথিবী। রাজনীতির মাঠে অনেকটা রকষ্টার কায়দায় প্রবেশ করেন তৎকালীন ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের সিনেটর বারাক হোসেন ওবামা।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছায় ভাসছে দেশ। বিশেষকরে সোশ্যাল মিডিয়াতে এর জোয়ার একটু বেশী। বিভিন্ন বিশেষণে আমরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি স্বাধীনতার সূর্যসেনাদের। পৃথিবীর দেশে দেশে সব কালে এমনটাই হয়। যারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধে যায় তাদের সন্মান ও শ্রদ্ধা ভরে জাতি স্মরণ করে এবং কৃতজ্ঞতা জানায়।
রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, রেললাইন নির্মাণ একটা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের অংশ। জনসংখ্যা বাড়ার সাথে মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদা বাড়ে। ইনফ্রাষ্ট্রাকচার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষন এসব চাহিদারই অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশে একটা সেতু নির্মাণ চলছে এবং এই সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়ার প্রতিটা ধাপ এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত সাফল্য হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া এক খুনের ঘটনা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। মানুষের মৃত্যু এতটা কষ্টের হয় ভাবতেও কষ্ট লাগছিল। যদিও মন খারাপ করার মত ব্যক্তিগত কোন কারণ ছিলনা ঘটনায়। এমন ঘটনা এখন বাংলাদেশে হরহামেশা ঘটছে। মিডিয়ায় আসছে কিছু কিছু, অধিকাংশই হয়ত সামাজিক কারণে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে।
মার্কিন নির্বাচনে ব্যপক ধরণের কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ করতে গিয়ে ট্রাম্প ও তার লিগ্যাল টীম বলছে, ৩রা নভেম্বরের নির্বাচন ছিল ভেনিজুয়েলার মৃত প্রসিডেন্ট হোগো চাভেস, তার উত্তরসূরী নিকোলাস মাদুরোর সাথে ডেমোক্রেটদের ষড়যন্ত্রের ফসল। ডেমোক্রেটরা নাকি ভেনিজুয়েলার কর্তৃত্ববাদী সরকারের আবিস্কৃত সফটওয়্যার ব্যবহার করে উলটে দিয়েছে নির্বাচনী ফলাফল।
মনে হচ্ছে আগামী চার বছরের জন্যে 'আমেরিকা ইজ ব্যাক' হতে যাচ্ছে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের মূল শ্লোগান। 'আমেরিকা ফার্ষ্ট' 'মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের এসব শ্লোগানের কাউন্টার হিসাবে বাইডেন প্রশাসনের শ্লোগান কতটা এফেক্টিভ হবে সময়ই তা প্রমাণ করবে।
ধীরে ধীরে পরিস্কার হচ্ছে ২০শে জানুয়ারী দুপুর ১২টার পর জোযেফ বাইডেন আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। একই দিন দুপুর ১২টা ১ মিনিটে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বর্তমান চাকরি হারিয়ে হতে যাচ্ছেন আমেরিকার ৩৩ কোটি সাধারণ নাগরিকদের একজন।
জিম জোনসের কথা কি আপনাদের মনে আছে? মনে আছে ১৯৭৮ সালের ১৮ই নভেম্বরে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা? শ্বাসরুদ্ধকর সে ঘটনা গোটা বিশ্বকে কদিনের জন্যে প্যারালাইজড করে রেখেছিল। ঘটনার প্রেক্ষাপট জানতে আমাদের ফিরে যেতে হবে আরও অতীতে। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিসকো হয়ে ফিরে যেতে হবে আরও পূবে ইন্ডিনায়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানাপোলিস শহরে।
আশার আলো জ্বলতে শুরু করেছে টানেলের শেষপ্রান্তে। সবকিছু পরিকল্পনা-মাফিক চললে আগামী এপ্রিলের মধ্যে করোনাকে পরাজিত করার আশা দিচ্ছে মার্কিন গবেষক, বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদগণ। এই তালিকায় অবশ্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম নেই। ফাইজারের পর ম্যাসাচুসাস ভিত্তিক আরেক মার্কিন কোম্পানি Moderna তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে।