গোলাম আযম কুরবানী
৯৬ বছরের এক বৃদ্ধের জন্য ৯০ বছর কারাদণ্ড। সমস্যাটা কোথায়? সমস্যাটা আসলে সরকার-জামায়েত আতাত অথবা বয়সের প্রতি দুর্বলতা প্রদর্শন নয়। যে কোন বিচারে ৯০ বছর কারাদণ্ড উপযুক্ত শাস্তি, অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের চাইতেও চরম দন্ড...
৯৬ বছরের এক বৃদ্ধের জন্য ৯০ বছর কারাদণ্ড। সমস্যাটা কোথায়? সমস্যাটা আসলে সরকার-জামায়েত আতাত অথবা বয়সের প্রতি দুর্বলতা প্রদর্শন নয়। যে কোন বিচারে ৯০ বছর কারাদণ্ড উপযুক্ত শাস্তি, অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের চাইতেও চরম দন্ড...
প্রতিটা জাতির কিছুনা কিছু ঘটনা থাকে যাকে ঘিরে আবর্তিত হয় তার বর্তমান ও ভবিষৎ। বাংলাদেশের জন্য ১৯৭১ সাল ছিল তেমনি একটা বছর। স্বাধীনতার জন্য পৃথিবীর দেশে দেশে সংগ্রাম হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে, যুদ্ধ হয়েছে। দখলদার শত্রুকে পরাজিত করে বিজয়ী জাতি মাথা উঁচু করে পৃথিবীর বুকে পা ফেলেছে, ঝাঁপিয়ে পড়ে উন্নতির দৌঁড়ে সামিল হয়েছে।
গাজীপুর নির্বাচনকে যারা দুই দলের অগ্নিপরীক্ষা হিসাবে মূল্যায়ন করে ক্ষমতাসীন দলের জন্য লালকার্ড হিসাবে দেখছেন তাদের সাথে দ্বিমত করতে চাই। এ নির্বাচন কখনোই দুই দলের নির্বাচন ছিলনা। এ ছিল আওয়মী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের নির্বাচন। বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর, এরশাদের জাপা সমর্থন অথবা আওয়ামী নেত্রীত্বের অনৈক্য এখানে ডিসাইসিভ ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করেনি।
হঠাৎ করেই তিনি নিউ ইয়র্ক সফরে এলেন। বাংলাদেশকে পরবর্তী তালেবান রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষনা দিলেন। উনার বৈজ্ঞানিক পুত্রকে ব্যবহার করে ভারতীয় পত্রিকায় বাংলাদেশে আল কায়েদার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আয়মেন আল জাওহারির লুকিয়ে থাকার অভিনব কাহিনী প্রকাশ করলেন। টনক নড়ে বুশ প্রশাসনের। বাংলাদেশিদের গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হয় নিয়ন্ত্রণের লাল কালি।
চুদুর বুদুর কতা কইয়েন না। পলামু কা? ইলেকশনে হারলে পলাইতে হইবো এই থিওরি কই পাইলেন? যুবদলের আলাল-দুলাল আগের বার কি পলাইছিল? হেরা যুবদল ও ঠিকাদার। বিম্পি আমলে টেন্ডার ছিনতাই করছে, গুল্লি কইরা আরেক ঠিকাদাররে আল্লার দরবারে পাঠাইছে...
তিনটা ভিন্ন খবর। তিন পত্রিকায় প্রকাশিত তিন মাত্রার খবর গুলো পড়ে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও বিমূঢ় হয়ে রইলাম। এ ধরনের খবর গ্রহ নক্ষত্র সহ সৌরজগতের অলৌকিক আয়োজনে ঈশ্বর নামের কারও বাস্তবতা নতুন করে কড়া নেড়ে যায়। সৃষ্টিকর্তা তথা পর জনম তত্ত্ব নিয়ে অনেক তর্ক করেছি, যতটুকু সম্ভব পড়াশোনা করার চেষ্টা করেছি, এবং সিদ্ধান্তে এসেছি...
প্রতিজ্ঞাটা কাউকে বলিনি। এমনকি লেখালেখিতে অনুৎসাহ যোগানো স্ত্রীকে পর্যন্ত না। চার সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে কোনটাতে ও যদি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী জিতে যায় বাংলাদেশের রাজনীতির উপর লেখালেখির এখানেই সমাপ্তি, এমনটাই ছিল সংকল্প। অবশ্য এর কতটা রাখতে পারতাম তা নিয়ে নিজেই ছিলাম সন্দিহান। জাতীয় নির্বাচনের সর্বশেষ পর্বে গাঁটের পয়সা খরচ করে দেশে...
মাদার্স ডে’কে কমপ্লিমেন্ট করার জন্য বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফাদার্স ডে’র উৎপত্তি। শুরুটা ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের স্পোকেইন শহরে। আমেরিকান সিভিল ওয়ার ভেটেরান উইলিয়াম জেকসন স্মার্টের কন্যা সনোরা স্মার্ট ডড ইয়াংম্যান ক্রিশ্চিয়ান এসোসিয়েশন (YMCA) হতে লঞ্চ করেন এই প্রকল্প।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবসর প্রাপ্ত একজন সেনা অফিসারের সাথে দেশ নিয়ে কথা বলছিলাম। মেরুকরণের সুনামিতে ভেসে এই জেনারেল কোন বন্দরে ঠাঁই নিয়েছেন কথা বার্তায় কিছুটা হলেও আন্দাজ করা গেছে। বিত্ত বৈভবের সমুদ্রে ভাসছেন তিনি। কেবল দেশে নয়, বিদেশেও জমিয়েছেন সম্পদের পাহাড়।
ক্ষমতার মসনদ নিয়ে ১৬ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে দেশের রাজনীতিবিদগণ। সাথে যোগ হয়েছে ধর্মীয় উন্মাদনা। চতুর্দিকে যুদ্ধের দামামা। মানুষ মরছে পাখির মত। পশুত্বের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে মনুষ্যত্ব। স্বাভাবিক জীবন আজ নির্বাসিত। জাতির ক্রান্তিলগ্নে হায়েনা রাজনীতিবিদদের হাতের পুতুল হয়ে ছাউনিতে বসে থাকার জন্য আপনাদের লালন করা হয়নি।