সহযাত্রী
১৯৯৮ সাল। যাবাে কলকাতা-মুম্বাই। ঢাকা এয়ারপাের্ট পৌছে প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জে দেখি আমার চেনা চমৎকার এক যুবতী, বয়স ছাব্বিশ-সাতাশ। শাদা কাপড়ের স্কিনটাইট প্যান্টের ওপর হাল্কা গােলাপি রঙয়ের স্লিভলেস টাইট গেঞ্জি পরা, দুটো বােতামই খােলা।
১৯৯৮ সাল। যাবাে কলকাতা-মুম্বাই। ঢাকা এয়ারপাের্ট পৌছে প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জে দেখি আমার চেনা চমৎকার এক যুবতী, বয়স ছাব্বিশ-সাতাশ। শাদা কাপড়ের স্কিনটাইট প্যান্টের ওপর হাল্কা গােলাপি রঙয়ের স্লিভলেস টাইট গেঞ্জি পরা, দুটো বােতামই খােলা।
সময়টা ছিল জীবনের সোনালী সময়। আমি ব্যাচেলর। চাইলে যে কারও দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারি। সম্পর্কে জড়াতে চাইলে সেটাও কোন অন্যায় হবেনা। বিয়ে তো পরের কথা। এক কথায় আমার জগতে আমি এলিজিবল ব্যাচেলর। একটা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীর এক্সেকিউটিভ ডিরেক্টটর।
গোটা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টকে ঢেলে সাজিয়েছে আমার কোম্পানী। ১২ জনের টীমকে ছেটে ২ জনে নামিয়ে এনেছে। গত ৬ মাস ধরে চলেছে এই নিধন পর্ব। শুক্রবার হলেই আতংকে থাকতো সবাই। এইবুঝি সমন এলো! হাতে ঘণ্টা খানেকের সময় দিয়ে বলতো, নিজের যা আছে গুছিয়ে সীমানার বাইরে যাও।
ইংল্যান্ডে এত গরম আগে কখনও দেখেছি বলে মনে করতে পারলামনা। মধ্য জুন এবং তাপমাত্রা প্রায় ২৮ ডিগ্রী সেঃ, হিউমিড। সুদূর সোভিয়েত দেশ হতে দু’দিন তিন রাতের ট্রেন জার্নি শেষে যেদিন লন্ডনের লিভারপুল ষ্টেশনে পৌছলাম পূর্ব ইউরোপের হাল্কা আবহাওয়ার কোন ছায়া খুজে পেলাম না।
মিরপুর রোড এবং ধানমন্ডি পুরানো ২নাম্বার রোডের কোনায় আমার অফিসটা। জীবনের প্রথম চাক্রী। সময় নিয়ে মাথা ঘামানোর ফুসরৎ ছিলনা। এলাহী কাজের ঝামেলা, সকাল গড়িয়ে কখন সন্ধ্যা হয়ে যেত টের পেতাম না।
সিডনী ছেড়ে সবেমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছি। আশ্রয় নিয়েছি প্যান্সেলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে। শিহাব আমার নেংটা কালের বন্ধু, মাঝখানে ২০ বছর যোগাযোগ না থাকালেও পূনঃমিলনে আন্তরিকতার কোন অভাব দেখলাম না।
মা যতদিন বেচে ছিলেন ঘন ঘন দেশে যাওয়া হত। বিশেষ করে সিডনীতে যতদিন ছিলাম কারণে অকারনে চলে যেতাম কোন একটা উপলক্ষ পেলেই। ঈদ, বাবার মৃত্যু বার্ষিকী, বিয়ে এ ধরনের যে কোন একটা অনুষ্ঠানের আওয়াজ পেলেই হাতের...
প্রেসিডেনসিয়াল নির্বাচনের সময় তখন। চারদিকে আলোচনা সমালোচনা, ওবামা না ম্যাক্কেইন এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই। ঐতিহাসিক ভাবে নিউ মেক্সিকো রিপাবলিকানদের দুর্জয় ঘাটি, যদিও এ যাত্রায় দলটির বিজয় যে খুব একটা সহজ হবেনা তা রিপাবলিকানদেরও জানা ছিল।
আপনার কি ইদানিংকালের ঢাকা শহরকে কাছ হতে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে? প্রশ্নটা একটু ঘুরিয়ে করলে বোধহয় সহজ হবে, কতদিন হল দেশে যান্নি? সময়টা খুব একটা লম্বা না হলে আমার লেখটা পড়ে মজা পাবেন্না।
বৃষ্টি পড়ছে সকাল হতে। প্রথমে গুড়ি গুড়ি তারপর হুড়মুর করে। দিগন্ত রেখায় সান্ডিয়া পাহাড়ের অবস্থানটা গ্রাস করে নিয়েছে সাদা মেঘরাশির দৈত্যমেলা। জানালাটা খুলে আজ আর দেখা মিল্লনা পাহাড়ের চূড়াটা, পূবের আকাশে আজ শুধুই মেঘের খেলা।